আজ, মঙ্গলবার আসানসোলের ঘনশ্যাম অ্যাপার্টমেন্টের চৈতালি তিওয়ারির ফ্ল্যাটে হাজির হল পুলিশের বিশেষ টিম। আসানসোলে কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠান করতে গিয়ে তিনজন মারা যান। তার জেরেই জিতেন্দ্র তিওয়ারি এবং তাঁর স্ত্রী চৈতালি তিওয়ারির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয় থানায়। কারণ পুলিশের অনুমতি না থাকা সত্ত্বেও এমন কর্মসূচির আয়োজন করেছিলেন তাঁরা। তাই এবার চৈতালি তিওয়ারির ফ্ল্যাটে এলো পুলিশের একটি বিশেষ দল।
গত ১৪ ডিসেম্বর আসানসোলের রামকৃষ্ণ ডাঙ্গালে কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে পদপিষ্ট হয়ে তিনজনের মৃত্যু হয়েছিল। সেই মামলায় অনুষ্ঠানের আয়োজক তথা বিজেপি কাউন্সিলর চৈতালি তিওয়ারি ও প্রাক্তন মেয়র তথা বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারির ফ্ল্যাটের দরজায় নোটিশ সাটিয়ে যায় আসানসোল থানার পুলিশ। পরে আজ সকালবেলায় পুলিশের এসিপি পদমর্যাদার আধিকারিকরা এবং তদন্তকারী অফিসার ও মহিলা পুলিশ –সহ বেশ কয়েকজন আধিকারিক ফ্ল্যাটে আসেন। যদিও চৈতালী তেওয়ারি বা জিতেন্দ্র তেওয়ারী ফ্ল্যাটে এই মুহূর্তে কেউ নেই। তালা দেওয়া অবস্থায় রয়েছে ফ্ল্যাটটি।
এদিকে ফ্ল্যাট তালাবন্ধ থাকায় চৈতালির বাড়ির সামনেই দাঁড়িয়ে থাকতে হল পুলিশ অফিসারদের। মঙ্গলবার সকালে আসানসোল–দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের এসিপি (সেন্ট্রাল ২) শ্রীমন্ত বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে ৭ সদস্যের একটি দল জিতেন্দ্র তিওয়ারির ফ্ল্যাটে যান। কারণ জিতেন্দ্রর স্ত্রী আসানসোল পুরনিগমের ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। তাই চৈতালি দেবীকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চেয়ে সময়ও নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ফ্ল্যাট তালাবন্ধ থাকায় পুলিশ অফিসাররা সেখানে ঢুকতে পারেননি। অগত্যা ফিরে যান।
অন্যদিকে জিতেন্দ্র তিওয়ারির সঙ্গে সংবাদমাধ্যম ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, ‘যে তিনজন মারা গিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে বাচ্চা মেয়েটি আমার স্ত্রীর খুবই ঘনিষ্ঠ ছিল। এই দুর্ঘটনার পর থেকে আমার স্ত্রী খুব ভেঙে পড়েছেন। তাঁকে চিকিৎসা করাতে হচ্ছে। উনি এখন কথা বলার মতো অবস্থায় নেই।’ যদিও পুলিশের কয়েকজন কর্মী জিতেন্দ্রর ফ্ল্যাটের বাইরে দাঁড়িয়ে আছেন।