জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতালে জ্বরে আক্রান্তদের নিয়ে উদ্বেগ ক্রমশ বাড়ছে। গত কয়েকদিন ধরে জ্বর নিয়ে জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালে প্রায় ১৩০ জন শিশু ভর্তি হয়। তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন সুস্থ হয়ে বাড়িও গিয়েছে। তবে বেশ এই জ্বরে মৃত্যু হয়েছে তিনজনের। গতকাল ভোরে সদর হাসপাতালে চিকিৎসা চলাকালীন ৬ বছরের একটি শিশুকন্যার মৃত্যু হয়। পাশাপাশি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় চার মাসের আরও এক শিশুকন্যার মৃত্যু হয়েছে। এদিন সকালেও একদন শিশুর মৃত্যু হয়। তবে চিকিৎসকদের তরফেও জানানো হয়, পরিস্থিতি আয়ত্তের মধ্যেই রয়েছে। তাঁদের দাবি, ভয় পাওয়ার কিছু নেই। ইতিমধ্যেই পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ থেকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের একটি দল পরিদর্শন করে গিয়েছেন।
বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সব শিশুর করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। শিশুদের বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে। এই আবহে ডেঙ্গু, চিকনগুনিয়া ও জাপানি এনসেফেলাটিসের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছে না স্বাস্থ্য বিভাগ। কলকাতায় মেডিক্যাল কলেজের ট্রপিক্যাল মেডিসিনেও নমুনা পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এদিকে এদিন সকালে আরও একটি শিশুর মৃত্যু হয় জলপাইগুড়িতে। মৃত কৃপায়ণ রায়ের বয়স মাত্র সাড়ে তিন মাস। গতকাল দুপুরে ময়নাগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালের এমারজেন্সিতে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিত্সকরা রোগীর চিকিত্সা করেনি বলে অভিযোগ শিশুর পরিবারের লোকজনের। চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ ওঠে। এর আগে মঙ্গলবার দু'টি শিশুকন্যার মৃত্যু হয় জলপাইগুড়িতে।