ইডির হেফাজতে প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়। তাঁর বান্ধবীর ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার কোটি কোটি টাকা। এদিকে সেই টাকার সঙ্গে নিয়োগ দুর্নীতির যোগ রয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। অভিযোগ জেলার একাধিক নেতা পার্থর সঙ্গে যোগাযোগ রেখে টাকা তুলতেন বলে অভিযোগ। অভিযোগ সেই নেতাদের অন্যতম পূর্ব মেদিনীপুরের তৃণমূলের নান্টু প্রধান। এমনটাই দাবি বিভিন্ন মহলের। তবে সেই নান্টু প্রধান আর নেই। ২০১৮ সালেই খুন হন পার্থ ঘনিষ্ঠ এই নেতা। কিন্তু তিনি যে টাকা তুলেছিলেন বলে অভিযোগ তার কী হবে?
নান্টুর বাবার দাবি, ছেলের মৃত্যুর পরে এখনও পর্যন্ত তিনি ৫০০ জনের টাকা ফেরৎ দিয়েছেন। সম্পত্তি, জমি জমা বিক্রি করেও তিনি টাকা ফেরৎ দিচ্ছেন। বাকি পাওনাদারদের টাকাও তিনি মিটিয়ে দেবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন। কার্যত এভাবেই ছেলের পাপের প্রায়শ্চিত্ত করছেন বৃদ্ধ বাবা।
পাওনাদারদের একেবারে লম্বা লাইন। কারও কাছ থেকে ৫০ হাজার, কারও কাছ থেকে আবার ৫ লক্ষ টাকা তুলেছিলেন নান্টু। সেই টাকা কোথায় পাঠানো হয়েছিল, কতটা তিনি হজম করেছিলেন সেসব আর বিশেষ কিছু জানা যায় না। তবে পাওনাদাররা এখনও আসেন নান্টুর বাড়িতে। চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা তুলেছিল ছেলে। সেই টাকাই ফেরৎ দিচ্ছেন বাবা। বৃদ্ধ বয়সে, অশক্ত শরীরে এভাবেই হয়তো পাপমুক্ত হওয়ার চেষ্টা করছেন তিনি। তবে বৃদ্ধের এই প্রয়াসে কিছুটা হলেও স্বস্তিতে হতভাগ্য পরিবারগুলির।