পুরসভার তথ্য বলছে, ঝাড়গ্রাম শহরে এখনও অনেকেরই ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ বাকি। ১৮ বছরের বেশি প্রায় সাড়ে ১১ হাজার মানুষ ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ পাননি। এই সব লোকেদের যাতে দ্রুত টিকা দেওয়া হয়, এবার সেই উদ্যোগ পুর প্রশাসন। তবে স্বাস্থ্য দফতরের তথ্য অবশ্য অন্য কথা বলছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, ঝাড়গ্রামের সকল বাসিন্দা তো টিকা নেওয়া হয়েছেই, পাশাপাশি শহরের বাইরে প্রচুর মানুষ এই পুর এলাকায় এসে টিকা নিয়ে গিয়েছেন।
ঝাড়গ্রাম পুর প্রশাসন সূত্রে খবর, গত ৬ থেকে ১১ সেপ্টেম্বর ঝাড়গ্রামে বাড়ি-বাড়ি গিয়ে সমীক্ষা চালান পুরসভার কর্মীরা। তাতে দেখা যায়, শহরের ১১,৩২৭ জন এখনও ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ পাননি। জানা যায়, এলাকার ৫ নম্বর ওয়ার্ডে সবচেয়ে বেশি লোক প্রথম ডোজ পাননি। এছাড়াও ১, ২, ৪, ৯, ১১, ১২, ১৩, ১৬ ও ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে ৫০০–এর বেশি লোকের প্রথম ডোজ নেওয়া বাকি রয়েছে। কিন্তু এক লোক বাকি থাকল কীভাবে, যেখানে সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, ঝাড়গ্রামে নাকি সব নাগরিকেরই প্রথম ডোজ নেওয়া হয়ে গিয়েছে। তবে পরিসংখ্যানে অতিরিক্ত যে কতজনের টিকা নেওয়ার কথা জানা যাচ্ছে, সেই সংখ্যাটা নেহাতই কম নয়। শহরের বাইরে ৩৯ হাজার ৬৪৭ জন প্রথম ডোজ নিয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। তবে এক আধিকারিকের মতে, ভোট কর্মীরা টিকা নিলেও শহরের বাইরে টিকা নেওয়ার সংখ্যা এত বেশি হওয়ার কথা নয়।
এই প্রসঙ্গে স্বাস্থ্য দফতরের এক আধিকারিক জানান, স্বাস্থ্য দফতরের তরফে প্রতিষেধক দেওয়ার ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়। টিকা দেওয়ার জন্য কাকে কাকে কুপন দেওয়া হল, সেই তথ্য তাঁদের কাছে নেই। তবে এত সংখ্যক লোক টিকা না নেওয়ায় এবার নড়েচড়ে বসেছে পুর প্রশাসক। ঝাড়গ্রামের পুর প্রশাসক কবিতা ঘোষ জানান, ‘আমি পুর প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার আগেই কুপন বিলির কাজ শুরু হয়ে গিয়েছিল। আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর ওয়ার্ড ভিত্তিক তিনটি শিবির করে করোনার টিকা দেওয়া হবে।’