মেয়াদ ফুরাতে মুর্শিদাবাদের ডোমকল পুরসভায় প্রশাসক বসাল রাজ্য সরকার। বিদায়ী পুরপ্রধান তথা স্থানীয় বিধায়ক জফিকুল ইসলমাকে বসানো হয়েছে ওই পদে। সরকারের এই পদক্ষেপের চরম সমালোচনা করেছেন রাজসভার সাংসদ তথা বর্ষীয়ান আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য।
বুধবার শেষ হয়েছে ডোমকল পুরবোর্ডের মেয়াদ। আর বৃহস্পতিবারই বিদায়ী পুরপ্রধানকে প্রশাসক নিয়োগ করেছে রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর। এর পর জফিকুল ইসলাম বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমার ওপর আস্থা রেখেছেন। আমি তাঁর আস্থার মর্যাদা রাখব। মানবতার কাজে আমি ২৪ ঘণ্টা তৎপর। দোরে দোরে আমি সরকারের পরিষেবা পৌঁছে দেব’।
রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী বলেন, ‘দলীয় কোন্দলে ভোট করানোর সাহস নেই তৃণমূলের। ভোট করালেই ফাটাফাটি শুরু হবে। তাই পিছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতা দখল করে রাখার চেষ্টা।’
সরকারের এই পদক্ষেপের সমালোচনা করেছেন বরিষ্ঠ আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যও। তিনি বলেন, ‘রায়ে স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে বিশেষ পরিস্থিতিতে কলকাতা পুরসভায় প্রশাসক বসানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এমনকী করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচন করানোর নির্দেশও ছিল সেই রায়ে। আদালতের রায়ের অপব্যাবহার করে ক্ষমতা দখল করে রাখতে চাইছে তৃণমূল। এই সরকার গণতান্ত্রিক নীতি - নৈতিকতা কিচ্ছু মানে না।’
বলে রাখি, ডোমকল ছাড়াও রাজ্যে কালিম্পং, মিরিক, রায়গঞ্জ, পূজালি পুরসভার। এসব পুরসভায় ভোট কবে হবে কেউ জানে না।