মাত্র ৬৯ বছর বয়সে চলে গেলেন রাজ্যের মন্ত্রী সুব্রত সাহা। খাদ্য ও প্রক্রিয়াকরণ ও উদ্যানপালন দফতরের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত রাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন তিনি। জাতীয়তাবাদী রাজনীতিতে মুর্শিদাবাদে পরিচিত নাম ছিলেন সুব্রত সাহা। রাজনৈতিক জীবনে কংগ্রেসের একেবারে ঘরের ছেলে তিনি । পরবর্তী সময়ে যোগ দিয়েছিলেন তৃণমূলে। ২০১১ সালে সাগরদিঘি থেকে তৃণমূলের টিকিটে ভোটে জিতেছিলেন তিনি। কার্যত কংগ্রেসের গড়ে প্রথম ঘাসফুল ফুটিয়েছিলেন তিনি। মুর্শিদাবাদের প্রথম তৃণমূল এমএলএ। এরপর পরপর পর তিনবার তিনি ওই কেন্দ্র থেকে বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছিলেন। কিন্তু আচমকাই চিরবিদায় নিলেন তিনি। তাঁর প্রয়াণে শোক জ্ঞাপন করেছেন মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টুইট করে লিখেছেন, মানুষের প্রতি তাঁর দায়বদ্ধতা কিছুতেই ভোলার নয়। তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করি। সুব্রত সাহার পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
হাসাপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে জরুরী বিভাগে ভর্তি হয়েছিলেন। এরপর তাঁকে সিসিইউতে পাঠানো হয়েছিল। আমরা চেষ্টা করার পরে ১১.০২ মিনিটে তাঁর প্রয়াণ হয়েছে। অ্য়াকিউট ম্য়াসিভ হার্ট অ্য়াটাক হয়েছিল তাঁর। সবরকম চেষ্টা করার পরেও তাঁকে বাঁচানো যায়নি।
মুর্শিদাবাদের রাজনীতিতে অত্যন্ত পরিচিত নাম ছিলেন সুব্রত সাহা। শান্তিপ্রিয় মানুষ হিসাবেই পরিচিত ছিলেন তিনি। নীচুতলার কর্মীদের সঙ্গেও ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল তাঁর। তাঁর সহযোদ্ধাদের অনেকের মতে,হিংসার রাজনীতিতে একেবারেই বিশ্বাসী ছিলেন না তিনি। মানুষের বিপদে আপদে ঝাঁপিয়ে পড়়তেন।
সাগরদিঘির নেতা থেকে কর্মী সকলের মুখে একটাই কথা অভিভাবকহীন হয়ে গেল সাগরদিঘি। এই শূন্যতা পূরণ হওয়ার নয়। ব্লক তৃণমূল সভাপতি দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায় হিন্দুস্তান টাইমস বাংলাকে বলেন, দাদাকে ছাড়া সাগরদিঘি অভিভাবকহীন হয়ে গেল। সকলের সঙ্গে সুসম্পর্ক। দাদা কোনও দিন হিংসাকে প্রশয় দেননি। এক অন্য় ঘরানার মানুষ ছিলেন তিনি। অপর তৃণমূল নেতা মুরাদ শেখ জানিয়েছেন, দাদার শূন্যতা পূরণ হওয়ার নয়।