গরু পাচারকাণ্ডে অনুব্রত মণ্ডলকে সিবিআই গ্রেফতার করার পর থেকেই তদন্তকারীদের নজরে রয়েছেন সুকন্যা মণ্ডল। একাধিক চালকলের সঙ্গে নাম জড়িয়েছে সুকন্যার। তাঁর স্কুলে চাকরি করা নিয়েও বিতর্ক শুরু হয়েছে। এই আবহে সুকন্যাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে গিয়েও তা করতে পারেননি সিবিআই আধিকারিকরা। এবার সুকন্যার নামে এক কোটি টাকার একটি স্থায়ী আমানতের খোঁজ পেলেন তদন্তকারীরা। (আরও পড়ুন: পুজোর আগে বড় ধাক্কা বাংলার সুরাপ্রেমীদের জন্য, বাড়ছে মদের দাম!)
এর আগে অনুব্রত মণ্ডলের নামে এবং বেনামে বহু জমি এবং চালকলের সন্ধান পেয়েছেন তদন্তকারীরা। গরু পাচারকারীদের থেকে পাওয়া ‘প্রটেকশন মানি’ দিয়েই এই সব সম্পত্তি কেনা হয়েছে বলে সন্দেহ সিবিআই-এর। এই আবহে অনুব্রতর আত্মীয়দের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের উপর নজর পড়েছিল তদন্তকারীদের। এর জেরে বীরভূমের রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের বেশ কয়েকজন আধিকারিককে জেরাও করেন তদন্তকারীরা। পাশাপাশি বিভিন্ন নথি খতিয়ে দেখা হয়। এই তল্লাশির মাঝেই সুকন্যার নামে কোটি টাকার এই ফিক্সড ডিপোজিটের খোঁজ পান তদন্তকারীরা। এরপরই সিবিআই-এর তরফে সেই ফিক্সড ডিপোজিট ফ্রিজ করা হয়।
আরও পড়ুন: স্থানীয় ভাষায় লেখা সংখ্যা চিনতে না পারায় মাথায় হাত, মোটা জরিমানা SBI-কে
জানা গিয়েছে, বৃহ্স্পতিবার বীরভূমের বোলপুরের ইন্ডিয়ান ব্যাঙ্কের শাখায় যান সিবিআই তদন্তকারীরা। ব্যাঙ্কের বিভিন্ন নথিপত্র খতিয়ে দেখেন তাঁরা। সেই সময় ওই ফিক্সড ডিপোজিটের বিষয়ে জানতে পারেন সিবিআই আধিকারিকরা। এরপরই কড়া পদক্ষেপ করেন তদন্তকারীরা। এদিকে সুকন্যা ছাড়া অনুব্রত ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিতদের ব্যাঙ্ক লেনদেনের উপরও কড়া নজর দিয়েছে সিবিআই।
এর আগে ভারত সেবাশ্রম সংঘের প্রায় দেড় বিঘা জমি সুকন্যার মালিকানাধীন সংস্থার নামে হস্তান্তর হওয়ার নথি হাতে এসেছিল সিবিআই-এর। জানা যায়, তারাপীঠের কাছে এই জমির দাম আকাশছোঁয়া। সেই জমি ১ কোটি ৬০ লক্ষ টাকায় হস্তান্তরিত হয়েছিল বলে নথিতে জানতে পেরেছিল সিবিআই। সিবিআই নথি ঘেঁটে জানতে পেরেছে, ভারত সেবাশ্রম সংঘের কাছ থেকে এএনএম অ্যাগ্রোকেম জমিটি কিনেছিল ২০১৮ সালে। তবে এই জমি রেজিস্ট্রি হয় ২০২১ সালে। ১ কোটি ৬০ লক্ষ টাকা দামের ভিত্তিতে যে সংস্থা এই জমিটি কেনে, সেই সংস্থার অন্যতম ডিরেক্টর সুকন্যা মণ্ডল। এবার সুকন্যার নামে কোটি টাকার স্থায়ী আমানতের খোঁজ পেল সিবিআই।