আবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে নিশানা করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সম্প্রতি করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় শয়ে শয়ে মানুষ মারা গিয়েছিল। তার জেরে বাংলার নিহত ও আহতের সংখ্যাও ছিল প্রচুর। এই পরিবারগুলিকে আর্থিক সাহায্য করেছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকী অনেককে শেষ শ্রদ্ধাও জানিয়েছিলেন তিনি। নিহতের পরিবারগুলির একজন সদস্যকে হোমগার্ডের চাকরি পর্যন্ত দিয়েছিলেন। যাতে পরিবারটি ভেসে না যায়। এই আর্থিক সাহায্য বেআইনি পথে অন্য তহবিল থেকে করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুললেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
আজ, শনিবার একটি টুইট করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। সেখানে সরাসরি রাজ্য সরকার ‘বিল্ডিং এবং অন্যান্য নির্মাণ কর্মীদের কল্যাণমূলক বোর্ডের’ তহবিল ঘুরিয়ে দিয়ে এই আর্থিক সাহায্য করেছে বলে অভিযোগ তুলেছেন শুভেন্দু অধিকারী। এই নিয়ে টুইটে যোগ করেছেন একটি চেক। বেআইনি পথে এই তহবিল ঘোরানো হয়েছে বলে টুইটে অভিযোগ করেছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রাক্কালে এই অভিযোগ তুলে তিনি রাজনীতির ময়দান সরগরম করে দিতে চেয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও এই বিষয়ে এখনও রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। তবে চর্চা শুরু হয়েছে।
এদিকে এই বিষয়টি নিয়ে শুভেন্দু অধিকারী কেন্দ্রীয় সরকারকে চিঠি লিখেছেন। যাতে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হয়। এই বেআইনি কাজ করে মানুষের মন জয় করার চেষ্টা করা হয়েছে বলে অভিযোগ বিরোধী দলনেতার। কেন্দ্রীয় শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রকের নজরে বিষয়টি আনা হয়েছে। এখন দেখার কেন্দ্রীয় সরকার কেমন পদক্ষেপ করে। এর আগেও এমন অভিযোগ করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। তবে তা বিশেষ কোনও প্রভাব ফেলতে পারেনি। নানা ইস্যুতে চিঠি লিখেছেন তিনি। আর তার জেরে একশো দিনের কাজ এবং আবাস যোজনার টাকা আটকে রেখেছে কেন্দ্রীয় সরকার বলে তৃণমূল কংগ্রেসের অভিযোগ।
আরও পড়ুন: প্রেসিডেন্সি জেলের চিকিৎসককে তলব করল সিবিআই, কুন্তল চিঠি মামলার জের
ঠিক কী লিখেছেন শুভেন্দু? অন্যদিকে টুইট করে একাধিক অভিযোগ করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি লেখেন, ‘করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় আর্থিক সাহায্য দেওয়া হয়েছে বেআইনি পথে। রাজ্য সরকার ‘বিল্ডিং এবং অন্যান্য নির্মাণ কর্মীদের কল্যাণমূলক বোর্ডের’ তহবিল ঘুরিয়ে দিয়ে এই আর্থিক সাহায্য করেছে। এবার এটা দিনের আলোর মতো পরিষ্কার হচ্ছে মিড–ডে মিলের টাকা ঘুরিয়েও ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে। বগটুই গণহত্যার ক্ষতিপূরণ মিড–ডে মিলের টাকায় দেওয়া হয়েছে। তাই কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানকে চিঠি লিখে অর্থের অপব্যবহারের কথা জানিয়েছি।’