অমৃত ভারত প্রকল্পে ঢেলে সাজানো হচ্ছে তারকেশ্বরকে। রেল স্টেশনের পুরনো ভবনটি ভেঙে মন্দিরের শীর্ষভাগের আদলে নতুন করে ভবনটি তৈরি হবে। এছাড়া যাতায়াতের সুবিধার জন্য স্টেশনের শেষে ১২ মিটার চওড়া ফুট ওভারব্রিজ, তার সঙ্গে চলমান সিড়িও তৈরি হবে বলে জানা গিয়েছে।
অমৃত ভার প্রকল্পের আওতায় দেশের মোট ১ হাজার রেল স্টেশনের অধুনিকীকরণের কাজ চলছে। এই রাজ্যে অমৃত ভারত প্রকল্পের আওতায় রয়েছে ৩৭টি রেল স্টেশন। তার মধ্যে পূর্ব রেল পেয়েছে ২৮টি রেল স্টেশন। তারকেশ্বর রেলস্টেশনের জন্য বরাদ্দ ২৪ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা।
এই আধুনিকীকরণ প্রকল্পের আওতায় স্টেশন সংলগ্ন রাস্তাও রয়েছে। রাস্তাটিকে আরও চওড়া করা হবে। এছাড়া স্টেশন চত্ত্বরকে সৌন্দর্যায়ন করে ছোট যান চলাচল ও পার্কিং-এর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
পড়ুন। আজ অফিসে গিয়েই প্রতিবাদ, ডিএ আন্দোলনকে নবান্নের দুয়ারে পৌঁছে দেওয়ার ভাবনা যৌথ মঞ্চের
ফুড প্লাজা, চলমান সিড়ি, লিফট, শীততপ নিয়ন্ত্রিত প্রতীক্ষালয়, নতুন ওভারব্রিজ এবং বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ব্যক্তিদের জন্য সবরকম ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে।
প্রতিদিন তারকেশ্বরে কয়েক হাজার মানুষের সমাগম হয়। তা ছাড়া শ্রাবণ মাসে ভক্ত সমাগম বাড়ে। সে দিকে তাকিয়েও এই ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তারকেশ্বর লাইনের যাত্রী অ্যাসোশিয়েশনের মতে, এর ফলে শুধু তারকেশ্বর নয়, শেওড়াফুলি-সহ আশপাশে স্টেশনগুলিও উন্নত পরিষেবা পাবে।
পডুন। নেই মমতা, বাংলায় রাহুলের ন্যায় যাত্রার সঙ্গী এবার ক্যাপ্টেন মীনাক্ষী
তারকেশ্বর রেলস্টেশনকে সাজিয়ে তোলার জন্য ইতিমধ্যেই কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। পুরনো রাস্তা ঢালাই হচ্ছে চলছে। এছাড়া ওভারব্রিজেরও কাজ চলছে জোর কদমে।
স্থানীয় বাসিন্দার জানাচ্ছেন, বাসস্ট্যান্ড থেকে মন্দির পর্যন্ত ওভার ব্রিজ তৈরি হলে মন্দির যাতায়াতের ক্ষেত্রে অনেক সুবিধা হবে।
তবে রেলযাত্রীদের একাংশের আশঙ্কা, এই ভাবে সৌন্দর্যায়নের নামে আসলে বেসরকারিকরণের পথে প্রথম পদক্ষেপ।