এবার ৮০০ জনের টিম তৈরি করল রাজ্য সরকার। এই টিম শুধু তৈরি করা হয়েছে গঙ্গাসাগর মেলার জন্য। করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পুণ্যার্থীরা চলছে কিনা, এটাই দেখা তাঁদের কাজ। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছেন, সমস্ত পুণ্যার্থীর র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট করতে হবে। এই পরীক্ষা করা হবে মেলা প্রাঙ্গণে পৌঁছানোর আগে। আর এখানে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক।
এই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এই বছর আমরা গঙ্গাসাগর মেলাকে ছোটো করে নিয়ে এসেছি। করোনা পরিস্থিতিকে নিয়ন্ত্রণে আনতে এই ব্যবস্থা করা হয়েছে। আমরা মেলা বন্ধ করিনি। কিন্তু তার বহরকে কমিয়ে এনেছি।’ প্রয়াগের কুম্ভমেলার পর দ্বিতীয় বৃহত্তম পুণ্যস্নানের মেলা হল গঙ্গাসাগর মেলা। জানুয়ারি মাসের ৮ এবং ১৬ তারিখ পুণ্যস্নান করবেন পুণ্যার্থীরা।
গঙ্গাসাগর মেলার প্রস্তুতি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা এই মেলাকে সীমাবদ্ধতার মধ্যে রাখার চেষ্টা করেছি। কারণ কোভিড পরিস্থিতি। গত বছর ৫ লাখের বেশি মানুষের সমাগম হয়েছিল। এবার দু'লাখের বেশি হবে না। আমরা কাউকে আসতে নিষেধ করতে পারি না। তবে আমরা দায়িত্ব নিয়ে সতর্ক থাকার জন্য ব্যবস্থা করেছি।’ এই মেলায় ১৩টি প্রবেশপথ থাকছে। ৬০০ কোভিড শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ছ'টি পরীক্ষাকেন্দ্র রয়েছে। আটটি সেফ হোম রাখা হয়েছে। ১১টি কোয়ারেন্টাইন সেন্টার রয়েছে এবং পাঁচটি আইসোলেশন সেন্টার রাখা হয়েছে।
এছাড়া ড্রোন, ওয়াটার অ্যাম্বুলেন্স এবং এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পুণ্যার্থীরা আসবেন। তাই র্যাপিড অ্যাকশন টেস্টের মধ্যে দিয়ে আসতে হবে। আর দ্বীপের নিকট ক্যাম্পে ভিড় করা যাবে না বলে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এই ৮০০ জনকে নিয়ে যে টিম তৈরি করা হয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী তার নাম দিয়েছেন 'সাগর বন্ধু'। আর সরকারি আধিকারিকদের অন্যান্য রাজ্যের সঙ্গে কথা বলতে বলেছেন, যাতে বোঝা যায় কোন রাজ্য থেকে কত পুণ্যার্থী আসছেন। এই ব্যবস্থার পাশাপাশি ই–স্নান, তীর্থ সামগ্রী প্যাক, গঙ্গা জল, প্রসাদ ও টিকা বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।