চাকরি না পাওয়ার হতাশা নয়। সম্ভবত শারীরিক অসুস্থতার কারণেই আত্মঘাতী হয়েছেন টেটের চাকিপ্রার্থী রাজু গাজি। শুক্রবার সন্ধ্যায় উত্তর ২৪ পরগনার ঠাকুরনগর স্টেশনে চলন্ত ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী হন তিনি। ২০১৭ সালে টেট দিয়েছিলেন রাজু। কিন্তু আধ নম্বরের জন্য উত্তীর্ণ হতে পারেননি তিনি। তরতাজা যুবকের মৃত্যুতে শোকের আবহ উত্তর ২৪ পরগনার বাদুড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের চাতরা গ্রামে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় ঠাকুরনগর স্টেশনে জনবহুল জায়গায় ট্রেনের সামনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী হন রাজু। বনগাঁ জিআরপির কর্মীরা গিয়ে দেহ উদ্ধার করেন। এর পরই জানা যায়, ২০১৭ সালের টেট পরীক্ষার্থীদের সংগঠনের নেতা ছিলেন রাজু। চলতি বছর ৩১ জানুয়ারি বেরোয় সেই পরীক্ষার ফল। তাতে দেখা যায় OBC B শ্রেণির কাট অফ মার্ক উঠেছে ৮২.৫ শতাংশ। আর রাজু পেয়েছেন ৮২। মাত্র আধ নম্বরের জন্য টেট উত্তীর্ণ হতে পারেননি তিনি। এর পর প্রশ্নপত্রে কিছু ভুল রয়েছে বলে দাবি করে গত জুলাই মাসে তিনি কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন। রাজুর বন্ধুরা জানিয়েছেন, সেই মামলাও ইতিবাচক দিকে এগোচ্ছিল। এরই মধ্যে তাঁর আত্মহত্যার কারণ বুঝতে পারছেন না কেউই।
আসছে ঘূর্ণাবর্ত, দুর্গাপুজোর সপ্তমী থেকে নামতে পারে বৃষ্টি, সঙ্গে দমকা হাওয়া
রাজুর জামাইবাবু জামাল হোসেন বলেন, ‘ও ২০১৭ সালে পরীক্ষা দিয়েছিল। ফল বেরিয়েছে এবছর জানুয়ারিতে। পরীক্ষায় পাশ না করতে পারার হতাশায় যদি আত্মহত্যা করত তাহলে তো তখনই করতে পারত। এতদিন পরে করবে কেন?’ তিনি জানান, ‘বেশ কিছুদিন ধরে শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছিলেন রাজু। চিকিৎসা চলছিল তাঁর। ওষুধও খাচ্ছিলেন। তার পরও ক্রমশ শারীরিক অবস্থার অবনতি হচ্ছিল। সম্ভবত সেই হতাশা থেকেই আত্মঘাতী হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।’
রাজুর বন্ধু ঋতু সমাদ্দার বলেন, ‘রাজু এত দুর্বল ছিল না যে চাকরি না পেয়ে আত্মঘাতী হবে। ওর আত্মহত্যার পিছনে অন্য কারণ থাকতে পারে। ওর শরীরটা ভালো যাচ্ছিল না। আমরা সবাই একসঙ্গে পড়াশুনো করে পরীক্ষা দিয়েছিলাম। আমরা পাশ করে গেলেও ও পাশ করতে পারেনি। কিন্তু সেজন্য ও আত্মহত্যা করবে এটা মানতে পারছি না।’