শেখ শাহজাহান সিবিআই হেফাজতে যেতেই কাঁপতে শুরু করেছেন সন্দেশখালিসহ বসিরহাট মহকুমার একাধিক তৃণমূল নেতা। গত ৫ জানুয়ারি ইডি শাহজাহানের বাড়িতে পৌঁছনোর পর তৃণমূলের এই গুন্ডা কাকে কাকে ফোন করেছিলেন তার তালিকা রয়েছে সিবিআইয়ের তদন্তকারীদের হাতে। আর সেই তালিকায় যার যার নম্বর রয়েছে তারা এখন নিজেদের বাঁচাতে মরিয়া। এতদিন মুখ বুজে থাকলেও শাহজাহান সিবিআই হেফাজতে যেতে তাঁকে যে শাহজাহান সেদিন ফোন করেছিলেন তা স্বীকার করে নিয়েছেন সন্দেশখালির বিধায়ক সুকুমার মাহাতো। নিজেকে বাঁচাতে তাঁর দাবি, ইডির ওপর হামলা না করার পরামর্শ দিয়েছিলেন তিনি। এমনকী তাঁর সঙ্গে তৃণমূলের তেমন যোগ নেই বলে দাবি তাঁর।
আরও পড়ুন: সম্পর্কের গভীরতা কতটা? পার্থ-অর্পিতাকে নিয়ে বড় প্রশ্ন উঠল আদালতে
গত ৫ জানুয়ারি ইডির ওপর হামলার পর শাহজাহান ফেরার হওয়ার পর থেকেই লাগাতার তার হয়ে সাফাই গেয়েছিলেন স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক সুকুমার মাহাতো। আর শাহজাহান সিবিআই হেফাজতে যেতেই বদলে গিয়েছে তাঁর সুর। গত ৫ জানুয়ারি সকালে ইডি তার বাড়িতে পৌঁছনোর পর ৩ মিনিটে ২৮টি ফোন করেন শাহজাহান। নিজের ২টি ফোন থেকে করেন এই ফোনকলগুলি। সেই কল লিস্ট আগেই জোগাড় করেছে ইডি। সিবিআই তদন্তভার হাতে নেওয়ার পর কল লিস্ট তাদের হাতে তুলে দিয়েছেন ইডির তদন্তকারীরা। তবে লিস্টে কার কার নাম আছে তা এখনও খোলসা করেনি কেউই। তবে ওই কললিস্ট ২টিতে যাদের নাম রয়েছে তাদের যে সিবিআই তলব করতে চলেছে তা মোটের ওপর স্পষ্ট।
এই পরিস্থিতিতে আগে ভাগে নিজের সাফাই গেয়ে রাখলেন স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক সুকুমার মাহাতো। তিনি বলেন, গত ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা ৩০ মিনিট নাগাদ হাজি নুরুলের নির্দেশে আমি শাহজাহানকে ফোন করি। পরিস্থিতির কথা শুনে আমি ওকে বলি, ইডির ওপর যেন কোনও হামলা না হয়। কিন্তু ততক্ষণে যা হওয়ার হয়ে গিয়েছে’। এমনকী তৃণমূলের সঙ্গেও নিজের যোগাযোগ প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়ে দিয়েছেন তৃণমূলেরই বিধায়ক। তাঁর দাবি, ‘আমি তেমন ভাবে দল করি না। উন্নয়নের কাজ দেখি। আমি রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী কেউ নই।’
আরও পড়ুন: ‘সব মিথ্যে, আল্লাহ আছেন, বিচার হবেই’, প্রথমবার মুখ খুললেন ‘নেংটি ইঁদুর’ শাহজাহান
গত ৫ জানুয়ারি ইডির আধিকারিক শাহজাহানের বাড়ি পৌঁছে তাকে ফোন করে পরিচয় দিতেই ফোন কেটে দেয় সে। এর ১৫ মিনিটের মধ্যে প্রায় ২ হাজার দুষ্কৃতী ইডি আধিকারিকদের ওপরে হামলা চালায়। হামলায় আহত হন ইডির ৩ জন আধিকারিক। ছিনিয়ে নেওয়া হয় ল্যাপটপ থেকে শুরু করে তাদের কাছে থাকা যাবতীয় সরঞ্জাম।