রআওরপ্রথমে ঠিক হয়েছিল ৩ মার্চ উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ যাওয়ার পর সন্দেশখালিতে একটি বড় সভা করা হবে। বিরোধীরা যে অভিযোগ তুলছে, সেই সভা থেকে তার জবাব দেওয়া হবে। ১০ মার্চ ব্রিগেড সমাবেশ ডেকেছে তৃণমূল। তাই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছেন, বড় সমাবেশ নয়। ব্রিগেডের প্রস্তুতি সমাবেশ করা হবে সন্দেশখালিতে।
বসিরহাট জেলা তৃণমূলের সভাপতি তথা হাড়োয়ার বিধায়ক হাজি নুরুল ইসলাম সংবাদমাধ্যমকে বলেন, 'আপাতত আর কোনও সভা নয়। যেহেতু সামনেই দলের ব্রিগেড সমাবেশ রয়েছে, তাই সেই ব্রিগেডকে সফল করতে আমরা সন্দেশখালিতে ৩ মার্চ একটি প্রস্তুতি সভা করব।' কিন্তু কেন হঠাৎ সিদ্ধান্ত বদল? বিগ্রেড সমাবেশ নাকি সন্দেশখালিতে বড় সভা না করার অন্য কোনও কারণ রয়েছে? এ নিয়ে কিছু বলতে চাননি হাজি নরুল ইসলাম।
তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সন্দেশখালির এক সিপিএম নেতার দাবি, আসলে যে রকম উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে সন্দেশখালি সেখানে সভা করতে গেলে রোষের মধ্যেও পড়তে হতে পারে শীর্ষস্থানীয় নেতাদের। সব বুঝেই ব্রিগেডের প্রচার সভা করে দায় সারতে চাইছে তৃণমূল।
আরও পড়ুন। 'শাহজাহানকে গ্রেফতার করতে পারত পুলিশ', বললেন প্রধান বিচারপতি, ধোপে ঠিকল না অভিষেকের দাবি
আরও পড়ুন। 'অজিত মাইতি গ্রেফতার হতেই সন্দেশখালিতে জনরোষ আছড়ে পড়ল আরও ২ TMC নেতার বাড়িতে
জানা গিয়েছে, আগামী ৩ মার্চ ব্রিগেডের প্রস্তুতি সমাবেশ করা হবে সন্দেশখালিতে। সেখানে কোনও বড় নেতা উপস্থিত থাকবেন কি না তা জানা যায়নি।
প্রসঙ্গত, রবিবার ডায়মণ্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত মহেশতলায় একটি অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন অভিষেক। সেখানে তাঁর কাছে সন্দেশখালির সভার বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়। তখন তিনি বলেন, 'যখন যাওয়ার প্রয়োজন হলে নিশ্চয়ই যাব। আপাতত ওখানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক নয়। এমনিতেই উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ না হওয়া পর্যন্ত সভা করা যাবে না। তার পরে যে হেতু ১০ তারিখ ব্রিগেড, তাই তার প্রস্তুতিও থাকবে।'
তবে এই সভা না করার পিছনে অন্য একটি কারণও জানান তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধরণ সম্পাদক। তিনি বলেন, ' আমরা ওখানে অকারণে গিয়ে প্ররোচনা দিয়ে পরিস্থিতি অস্বাভাবিক করে তুলতে চাই না। এটা বিজেপি, সিপিএম।'
অভিষেকে এই সিদ্ধান্ত দলের জেলা নেতৃত্বের কাছে যাওয়ার পর তাঁরা সিদ্ধান্ত বদল করেন। জানিয়ে দেওয়া হয়, বড় সভার বদলে, ব্রিগেডের প্রস্তুতি জনসভা হবে সন্দেশখালিতে।