ডিসেম্বের মাঝমাঝি সময় থেকে পর্যটক বাড়ে সুন্দরবনে। নদীবক্ষে শীতের আমেজ নিতে নিতে পাড়ে রোদপোহাতে আসা বাঘমামাকে দেখার বাসনা নিয়ে অনেক চড়ে পড়েন লঞ্চে। তাই লঞ্চে পর্যটকদের নিরাপত্তায় বেশ কিছু নির্দেশ দিল দক্ষিণ ২৪ পরগনা বনদফতর। নদীবক্ষে ভ্রমণের সময় এবার ট্যুরিস্ট লঞ্চ ও বোটের চারদিক লাইলনের জাল দিয়ে ঘিরে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বনদফতরের বক্তব্য, বোটের চারদিক খোলা থাকার ফলে নানা ধরনের ঝুঁকি থেকে যায়। বিশেষ করে শিশু এবং বয়স্করা যাতে দুর্ঘটনার সন্মুখীন না হন, সেই জন্যই এই ব্যবস্থা বলে বন দফতরের নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে।
একই সঙ্গে প্রত্যেকটি লঞ্চ ও ট্যুরিস্ট বোটের লাইসেন্স নম্বর বড় করে লিখে টাঙিয়ে রাখর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কারণ, যদি লঞ্চ বা বোটটি কোনও দুর্ঘটনায় পড়ে তাকে যাতে দ্রুত চিহ্নিত করা যায় সেই জন্য এই ব্যবস্থা করার নির্দেশ দিয়েছে বনদফতর। এছাড়া বোটে পর্যাপ্ত ফাস্টএড সামগ্রী ও প্রয়োজনী ওষুধ মজুত রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
যাত্রী সুরক্ষায় কোনও খামতি রাখতে চাইছে না দফতর। এই নির্দেশ মানা হচ্ছে কি না তার জন্যও কড়া নজরদারি রাখা হবে।
(পড়ুন। এবারও হচ্ছে না পৌষমেলা, বৈঠকের পর জানাল বিশ্বভারতী ও শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট)
(পড়ুন। ট্রেনে স্লিপার কোচে ওয়েটিং-র টিকিট নিয়ে সফর রুখতে উদ্যোগী রেল, আসছে নয়া অ্যাপ)
শীতের মরশুমে পর্যটকদের সংখ্যা বাড়ে সুন্দরবনে। বিশেষত, বনি ও কলস ক্যাম্প, ঝড়খালি, দোবাঁকি, সুধন্যখালি ও সজনেখালিতেও পর্যটকদের ভিড় উপচে পড়ে ডিসেম্বরের মাঝমাঝি সময় থেকে। এবারও সেই রকম ভিড়ে আশা করছে বনদফতর। তাই প্রশাসনের তরফে দ্রুত এই নির্দেশিকা পালনে জোর দেওয়া হয়েছে।
এদিকে মরশুমের শুরুতেই সোমবার রয়েল বেঙ্গল টাইগারের দেখা মিলেছে। এদিন এম বি বাবা দেবেন্দ্র লঞ্চে চেপে ভ্রমণের সময় একটি বাঘকে নদী পেরতে দেখা গিয়েছে। বাঘটি নদী পার হয়ে এক জঙ্গল থেকে অন্য জঙ্গলে যাচ্ছিল। দক্ষিণরায়ের দর্শন পেয়ে আপ্লুত পর্যটকরাও।
মরশুমের শুরুতেই এই ভাবে বাঘের দর্শন মেলায় পর্যটন ব্যবসায়ীদের আশা এবার ভিড় বাড়বে সুন্দরবনে। তাই তারাও বিশেষ প্যাকজে এনে পর্যটক টানার উদ্যোগ নিয়েছে।