বুধবার সকাল থেকে বিক্ষোভ, পথ অবরোধ দেখলেন পশ্চিম মেদিনীপুরের বাসিন্দারা। সাঁওতালি ভাষায় পঠনপাঠনের দাবি নিয়ে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলাজুড়ে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। এমনকী ক্ষীরপাই হালদারদিঘী এবং দাসপুরে সকাল থেকেই পথ অবরোধ চলছে। এই রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে আদিবাসী সংগঠন। আর তার জেরে সকাল থেকে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে রাজ্য সড়ক। আটকে গিয়েছে দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন দূরপাল্লা যাত্রীবাহী গাড়ি,পণ্যবাহী গাড়ি। আদিবাসী সংগঠনের দাবি, এখন ১২ ঘন্টার বনধের ডাক দেওয়া হয়েছে। সরকার যদি দাবি না মানে তাহলে অনির্দিষ্টকালের অবরোধ চলবে। এখন সেখানে কড়া পুলিশের নজরদারি রয়েছে।
ঠিক কী ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুরে? রাজ্যজুড়ে ১২ ঘণ্টা চাক্কা জ্যাম বা পথ অবরোধে সামিল হয়েছে আদিবাসী সংগঠন ভারত জাকাত মাঝি পরগনা মহল। বুধবার সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যে ৬টা পর্যন্ত ১২ ঘণ্টা পথ অবরোধে সামিল হয়েছে আদিবাসীদের এই সংগঠন। এই সংগঠনের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটির ডাকে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে রেল অবরোধ কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। তার জেরেই আজ পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটাল মহকুমায় চন্দ্রকোণার ক্ষীরপাই হালদারদিঘি মোড়ে ঘাটাল–চন্দ্রকোণা ও ক্ষীরপাই–আরামবাগ রাজ্যসড়ক অবরোধ করা হয়েছে।
কেন এমন পথ অবরোধের ডাক? এখন ঘাটাল–পাঁশকুড়া রাজ্যসড়ক অবরোধ করেছে আদিবাসী সংগঠন। সাতসকালে রাজ্যসড়কে পথ অবরোধের জেরে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। অশান্তি এড়াতে মোতায়েন রয়েছে বিশাল পুলিশবাহিনী। সংগঠনের নেতৃত্বের দাবি, পথ অবরোধ কর্মসূচি পূর্ব ঘোষিত। ১২ দফা দাবি পূরণে সরকার কোনও উদ্যোগ না নেওয়ায় বাধ্য হয়েই ১২ ঘণ্টা রেল এবং পথ অবরোধের ডাক দেওয়া হয়েছে। যা চলছে।
ঠিক কী দাবি তাঁদের? আদিবাসী সংগঠনের পক্ষ থেকে প্রকাশিত ১২ দফা দাবিগুলি হল— ‘বীরভূমের দেউচা পাঁচামি’তে কয়লা খনি প্রকল্প বাতিল করা, প্রস্তাবিত ফরেস্ট কনজারভেশন রুল ২০২২ বাতিল করা, এসসি–এসটি আইডেনটিফিকেশন সংশোধনী প্রত্যাহার করা, পৃথক সাঁওতালি শিক্ষা বোর্ড গঠন করা–সহ আরও অনেক কিছু। এই পথ অবরোধের জেরে চরম ভোগান্তির শিকার নিত্যযাত্রীরা। তাঁদের দাবি রাজ্য সরকার না মানলে এই আন্দোলন অনির্দিষ্টকাল চলবে বলে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।