রাজ্য নতুন জেলা হতে চলেছে? এই প্রশ্ন এখন ঘুরপাক খাচ্ছে রাজ্য–রাজনীতিতে। কারণ এবার দুই ২৪ পরগনা জেলা ভাঙা নিয়ে তৎপরতা শুরু হয়েছে নবান্নে। এই জেলা ভাগ নিয়ে বৈঠকও হয়েছে বলে সূত্রের খবর। দুই ২৪ পরগনা জেলার ভাগ নিয়ে রূপরেখা পর্যন্ত তৈরি হয়েছে বলে সূত্রের খবর। যদিও এই নিয়ে সরকারিভাবে কিছু বলা হয়নি।
জেলা ভাগের বিষয়টি কী? প্রশাসনিক সূত্রে খবর, উত্তর ২৪ পরগনাকে দু’টি জেলায় ভাঙা হতে চলেছে। এখানে বসিরহাটকে আলাদা জেলা করা হবে। বাকি সব উত্তর ২৪ পরগনা জেলাতেই থাকবে। তবে দক্ষিণ ২৪ পরগনা ভেঙে দু’টি জেলা নাকি তিনটি জেলা করা হবে তা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। প্রাথমিক পরিকল্পনা অনুযায়ী, আলিপুর সদর এবং ডায়মন্ড হারবার নিয়ে একটি জেলা। বারুইপুর এবং ক্যানিং নিয়ে দ্বিতীয় জেলা। আর সুন্দরবনকে পৃথক জেলা করা হতে পারে। কারণ সুন্দরবনকে পৃথক জেলা করার কথা বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
কেন এই জেলা ভাগের পরিকল্পনা? নবান্ন সূত্রে খবর, জেলা ভাগ হলে সেখানে বাড়তি উন্নয়ন করা সম্ভব হয়। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে এই কাজ শেষ করতে পারলে নির্বাচনও সুষ্ঠুভাবে করা যাবে। এমনকী নতুন জেলা তৈরি হলে দুই ২৪ পরগনার প্রত্যন্ত এলাকার বাসিন্দাদের শহরাঞ্চলে অবস্থিত জেলা সদরে আসতে হবে না। মানুষের উপকার হবে। নিজের জেলার সমস্যা জেলাতেই মিটে যাবে। জেলার সংখ্যা বেশি হলে নানা প্রকল্পে কেন্দ্রীয় অনুদান বৃদ্ধির সম্ভাবনা থাকে।
আর কী কী হতে পারে? এই জেলা ভাগ হলে আইএএস অফিসার বেশি দাবি করতে পারবে রাজ্য। কাজ করার ক্ষেত্রে যা অত্যন্ত প্রয়োজন। প্রতিটি জেলার দিকে নজর দেওয়া যাবে। আর বড় জেলা হওয়ায় কাজের অসুবিধা হচ্ছিল। প্রশাসনিক কাজে তৎপরতা বাড়ানো সম্ভব হবে। উত্তর ২৪ পরগণা জেলা আকারে বড় হওয়ায় এই পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে।