পরপর চলল গুলি। আতঙ্কে মানুষ দিশেহারা। কেন গুলি চলল? এই প্রশ্নে তোলপাড় রেলশহরের মানুষজন। কিন্তু এলাকা দখলকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠল খড়্গপুর। আর তার জেরে চলল গুলি! এখানে রাম বাবু এবং শঙ্কর রাও গোষ্ঠীর বিবাদ দীর্ঘদিনের বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। তার জেরেই এই গুলি চলেছে। এরা দুই মাফিয়া গোষ্ঠী। এই ঘটনায় আহত সোনু মিশ্র নামে এক যুবক৷ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে খড়্গপুর থানার পুলিশ৷ এলাকায় শুরু হয়েছে নাকা চেকিং৷
স্থানীয় সূত্রে খবর, পরপর দু’রাউন্ড গুলিতে কেঁপে উঠল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়্গপুরের খরিদা জিনতলাব এলাকা। রাম বাবু ও শঙ্কর রাও গোষ্ঠীর মধ্যে বিবাদের জেরেই এই গুলি চলেছে। সোনু মিশ্র নামে এক যুবক অভিযোগ করেছে, সে দাঁড়িয়ে ছিল। তখন শের খান এবং পোস্ত নামে দুই যুবকের সঙ্গে বেশ কয়েকজন দুষ্কৃতী মিলে তার উপর হামলা চালায় এবং বেধড়ক মারধর করে। এমনকী দু’রাউন্ড গুলি চালায়। অল্পের জন্য সে প্রাণে বাঁচে।এলাকাবাসী পুলিশকে খবর দেয় এক যুবকের পেটে গুলি লেগেছে। আতঙ্কের জেরে সে নাকি গুলি লাগা অবস্থায় পুকুরে ঝাঁপ দিয়ে পালিয়েছে। সেই যুবকের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে খড়্গপুর টাউন থানার পুলিশ। তল্লাশি চলছে সোনু ও পোস্তর খোঁজেও। তবে, শের খান নামে এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে।
দুই মাফিয়া গোষ্ঠীর মধ্যে এলাকা দখলকে কেন্দ্র করে এই ঘটনা ঘটেছে বলে অনুমান খড়্গপুর টাউন থানার পুলিশের। সোনু রামবাবুর লোক। রাম বাবুর অনুপস্থিতিতে সেই এখন এলাকার ডন। শঙ্কর রাওয়ের ডান হাত ও বাম হাত যথাক্রমে পোস্ত ও শের খান। সোনু অভিযোগ করেছে, তার উপর এই দু’জন হামলা ও গুলি চালিয়েছে। শের খানের অভিযোগ, তাদের উপর সোনু গুলি চালিয়েছে। তল্লাশি চলছে সোনু ও পোস্তর খোঁজে। গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ চালানো হচ্ছে শের খানকে।
শুধু খড়্গপুর নয়, ঘটনায় মেদিনীপুরে ঢোকার মুখে অভিযুক্তদের খুঁজতে প্রতিটা রাস্তায় পুলিশের পক্ষ থেকে শুরু হয়েছে নাকা চেকিং৷ এই ঘটনার জেরে স্বাভাবিকভাবেই আতঙ্কিত এলাকার সাধারণ মানুষ৷ রেল শহরের সাধারণ মানুষ ফের এই মাফিয়ারাজে আতঙ্কিত! তাঁরাও পুলিশকে দ্রুত পদক্ষেপ করতে অনুরোধ করেছেন।