২০১৪–তে লোকসভা নির্বাচনের আগে আসানসোলে দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছিলেন, ‘মুঝে বাবুল চাহিয়ে।’ তা এখন অতীত। এবার সেই একই ঢঙে দলীয় কর্মীদের চাঙ্গা করতে কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র তাঁর স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিমায় বললেন, ‘ইয়ে খড়গপুর মুঝে চাহিয়ে।’ মদনের এই হুঙ্কারকে অবশ্য ‘কমেডিয়ান’ বলে ফুতকারে উড়িয়ে দিয়েছেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
সম্প্রতি পুরভোটের প্রচার করতে খড়গপুরে আসেন মদন মিত্র। প্রচারে এসে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে আক্রমণ করেন কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র জানান, ‘খড়গপুর জিততেই হবে। বিশ্বাসঘাতক শুভেন্দু অধিকারীকে জবাব দিতেই হবে।’ একইসঙ্গে তিনি জানান, ‘শুভেন্দু যদি মায়ের দুধ খেয়ে থাকে আর বাপের বেটা হয়ে থাকে, তাহলে নন্দীগ্রাম থেকে ইস্তফা দিক। আমিও কামারহাটি থেকে ইস্তফা দিচ্ছি। ২৯৪টি বিধানসভা কেন্দ্রের যেখান থেকে বলবে, লড়ে দেখাব। শুভেন্দুকে ওপেন চ্যালেঞ্জ দিচ্ছি।’ শুধু শুভেন্দুই নন, মেদিনীপুরের সাংসদ দিলীপ ঘোষকেও নিশানা করেছেন মদন। এই প্রসঙ্গে দিলীপকে আক্রমণ করেই মদন জানান, ‘দিলীপ ঘোষকে নিয়ে কী আর বলব। ওর তো বারমুডা খুলে যাচ্ছে। আলো মানেই ফিলিপস আর পাগল মানেই দিলীপ ঘোষ।’
মদনের এই বক্তব্য প্রসঙ্গে পাল্টা কটাক্ষ করতেও ছাড়েননি দিলীপ ঘোষ। এই প্রসঙ্গে বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ জানান, ‘শুভেন্দু তো মুখ্যমন্ত্রীকে হারিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন। গায়ের জোরে জিততে পারেননি। সেই কষ্টটা আছে। সেই দুঃখে এখন উল্টোপাল্টা বলছেন। আলতু ফালতু না বলে, কাজ করে দেখান। উনিও তো একবার হারের মুখ দেখেছেন।’ একইসঙ্গে দিলীপবাবু জানান, ‘উনি তো বাংলার জন্য ভালো কমেডিয়ান। মদন দিনে এক কথা বলেন, আর রাতে এক কথা বলেন।’