শেষ পর্যন্ত সিপিএমের চাপের মুখে নতি স্বীকার করল নবান্ন। শিলিগুড়ি পুরসভার প্রশাসনিক বোর্ড থেকে বাদ দেওয়া হল তৃণমূল কাউন্সিলরদের। শনিবার দিনভর নাটকের পর বিকেলে নতুন বিজ্ঞপ্তি জারি করে পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রক। তাতে বিদায়ী মেয়র অশোক ভট্টাচার্যকে চেয়ারম্যান করে ৬ বাম কাউন্সিলরকে সদস্য করা হয়েছে।
শনিবার শেষ হয়েছে শিলিগুড়ি পুরবোর্ডের মেয়াদ। তার আগে বৃহস্পতিবার নবান্ন থেকে জারি করা হয় বিজ্ঞপ্তি। তাতে কলকাতা পুরসভার ধাঁচে শিলিগুড়িতেও বিদায়ী মেয়রকে চেয়ারম্যান করে ১২ সদস্যের বোর্ড গঠনের নির্দেশ দেওয়া হয়। তার মধ্যে নাম ছিল ৫ জন তৃণমূল কাউন্সিলরেরও।
বোর্ডে তৃণমূল কাউন্সিলরদের নাম দেখে পত্রপাঠ বেঁকে বসে সিপিএম। তাদের স্পষ্ট কথা, হয় শিলিগুড়িতে তৃণমূল কাউন্সিলরদের বোর্ড থেকে সরাতে হবে। নইলে অন্য জায়গাতেও বিরোধী কাউন্সিলরদের বোর্ডে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। তবেই শিলিগুড়ির প্রশাসনিক বোর্ডের দায়িত্ব নেবেন তাঁরা।
শনিবার দিনভন এই নিয়ে টানাপোড়েনের পর তৃণমূল কাউন্সিলরদের বাদ দিয়ে বোর্ড গঠনের নির্দেশ দেয় নবান্ন। রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তকে নিজেদের জয় হিসাবে দেখছে সিপিএম।
শনিবার মেয়র হিসাবে নিজের কার্যকালের শেষ দিনে পুর ভবনে ঘুরে কর্মীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন অশোকবাবু। দেখা করেন শিলিগুড়ি পুরসভায় বরোধী দলনেতা রঞ্জন সরকারের সঙ্গে।
এর পর সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘পিছনের দরজা দিয়ে তৃণমূল কাউন্সিলরদের বোর্ডে ঢোকানোর চেষ্টা হচ্ছিল। তামরা তার বিরোধিতা করে সাফল্য পেয়েছি। এটা শিলিগুড়ির জনমতের জয়। যত দ্রুত সম্ভব আমরা এই দায়িত্ব গ্রহণ করব।’
সিপিএমের রাজ্যসভার সাংসদ তথা বরিষ্ঠ আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, কলকাতা পুরসভায় প্রশাসক বসানোর সংস্থান আইনে নেই। সেক্ষেত্রে সরকারের উচিত ছিল অধ্যাদেশ বা আইন এনে সেখানে প্রশাসক নিয়োগ করা। কিন্তু শিলিগুড়ি পুরসভায় তেমন আইনি বাধা নেই। কিন্তু প্রশ্ন হল, ৫ বছরের মেয়াদ শেষ করার পরেও একই ব্যক্তি একই দায়িত্বে থাকাটা কতটা সংবিধানসম্মত?