সিঙ্গুর সরণী বেয়েই একদিন ক্ষমতার মসনদে বসেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমন আলোচনা দীর্ঘদিন ধরে বাংলার উঠোনে চলেছে। সেই সিঙ্গুরেই শুক্রবার গিয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সিঙ্গুরের বাজেমেলিয়াতে গিয়ে এদিন তিনি সন্তোষী মায়ের মন্দিরে যান।
সেখানে তিনি ফুল, অর্ঘ্য নিবেদন করেন। সূত্রের খবর এই মন্দির নির্মাণের পেছনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূমিকাও রয়েছে। এমনকী মন্দির নির্মাণের জন্য তিনি তৃণমূল নেতা বেচারাম মান্নার কাছে জমিও চেয়েছিলেন। কিন্তু কেন?
তিনি বলেন, আমার মানসিক ছিল। যদি কৃষি জমি আন্দোলনে আমরা জয়লাভ করি তবে মায়ের একটা মন্দির করে দিয়ে আসব। আপনারা সিঙ্গুরে জয়লাভ করলেন, জমিও ফেরৎ পেলেন, সুপ্রিম কোর্টের রায়ও জিতলেন, আমরাও সামর্থ্য অনুসারে যা পারি সাহায্য করলাম। কোচ ফ্যাক্টরি হচ্ছে। আমাকে উদ্বোধন করতে আসতে হবে। একদিকে সবুজ শস্য বাংলা মা আর অন্যদিকে শিল্প।
নেত্রী বলেন, তখন আমি মানসিক করেছিলাম বলেই আমি গত চার পাঁচ বছর আগে একদিন বেচাকে ডেকে বললাম, বেচা আমাকে একটা ছোট্ট জায়গা দিতে হবে। বেচা বলল কেন দিদি? বড় জায়গাই দেব। আমি বললাম আমার থাকার জন্য নয়। একটা ছোট্ট মন্দির করতে হবে। কারণ এটা আমার কমিটমেন্ট ছিল। তোমরা জিতেছ। মা আমার কথা রেখেছেন। এটা মনের শক্তি। মনের ভক্তি। ধর্ম সবটাই হৃদয়কে কেন্দ্র করে। আমি সব ধর্মকে ভালোবাসি। আমি সব ধর্মস্থানে যাই।
মমতা বলেন, তখন বেচা আমাকে বলল আমি সব ব্যবস্থা করছি। তখন আমি মন্দিরটা তৈরি করালাম। মন্দিরটা ২০১৯এ হয়েছে। এখানকার এক কৃষকভাই পুজো করেন। আমি আসতে চাইছিলাম না। মন টানল। ১৬ সপ্তাহ ব্রত রাখতে হয়। বললাম একটা ঘটে জল বসিয়ে রাখতে বলিস। আমি বাচ্চাদের খাইয়ে ব্রত উদযাপন করলাম।