এবার ৬ দিনের মাথায় খুনের কিনারা করল জেলা পুলিশ। হুগলির ধনেখালিতে এক ব্যক্তি খুন হয়েছিলেন। তাঁর স্ত্রীর অভিযোগ ছিল, স্বামীকে কেউ বা কারা খুন করেছে। তারপর তদন্তে নেমে পুলিশ নিকটবর্তী কুয়ো থেকে বস্তাবন্দি দেহ উদ্ধার করে। এমনকী প্রমাণ লোপাটের চেষ্টার অভিযোগে এই কাজ করা হয়েছে বলে পুলিশ নিশ্চিত হয়। তারপরই তদন্তে বিবাহ–বহির্ভূত সম্পর্কের তথ্য পায় পুলিশ।
তদন্তে ঠিক কী উঠে আসে? পুলিশ সূত্রে খবর, এই বিবাহ–বহির্ভূত সম্পর্কের জেরে স্বামীকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করে স্ত্রী এবং তার প্রেমিক। খুনের অভিযোগে মৃতের স্ত্রী এবং তাঁর প্রেমিককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গত ২৯ এপ্রিল হুগলির ভাণ্ডারহাটি ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের দেউলপাড়া এলাকার কুয়ো থেকে স্বামী সনাতনের বস্তাবন্দি দেহ উদ্ধার হয়। এরপর নানা অভিনয় করা হলেও পুলিশ জেরা করতে শুরু করে। তখনই সনাতনের স্ত্রীর সঙ্গে বেচারামের পরকীয়া সম্পর্কের কথা উঠে আসে। সনাতনকে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছে বেচারাম।
ঠিক কী পরিকল্পনা করা হয়? পুলিশের জেরায় বেচারাম জানিয়েছে, গত ২৮ এপ্রিল সনাতনকে ধনেখালির বাড়িতে নিয়ে যায় বেচারাম। সেখানে খাওয়া-দাওয়া ও মদ্যপান করা হয়। তার পর সনাতনের মাথায় হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করে বেচারাম। এমনকী মৃত্যু নিশ্চিত করতে গলায় ফাঁস দিয়ে শ্বাসরোধ করা হয়। আর প্রমাণ লোপাটের জন্য মৃতদেহ বস্তায় ভরে বাড়ি থেকে প্রায় ৩০০ মিটার দূরে একটি কুয়োয় ফেলে দেওয়া হয়।
তারপর ঠিক কী হল? এই খুনের পর সনাতনের স্ত্রী চাঁপার সঙ্গে দেখা করে বেচারাম। পথের কাঁটাকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে তারা সেই রাতে সহবাসও করে। তবে পুলিশের জেরায় সব স্বীকার করে নেয় বেচারাম। এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে সোমবার সনাতনের স্ত্রী চাঁপাকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ। খুনে ব্যবহৃত অস্ত্রের খোঁজ চালানো হচ্ছে।