দু’বার করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি। প্রথম বার সেরেও উঠেছিলেন। দ্বিতীয়বার করোনা আক্রান্ত হয়ে মানসিক অবসাদের ভুগছিলেন। হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরেই আত্মঘাতী হলেন ওই করোনা আক্রান্ত রোগী। শুক্রবার রাতে এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে দেগঙ্গার বিশ্বনাথপুর পদ্মরাজ পাড়া এলাকায়। এই ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে গোটা এলাকায়। দেগঙ্গা থানার পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। ঘটনা তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে মৃতsর নাম মামনি মণ্ডল। দেগঙ্গার বাসিন্দা ওই মহিলা বাড়িতেই গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করলেন।
মৃতের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় ওই রোগিনী বারবার স্বামীকে বলতে থাকেন, চিকিৎসকরা তাঁকে মেরে ফেলবেন। তাঁকে যেন দ্রুত হাসপাতাল থেকে নিয়ে যান স্বামী। সে কারণে গৃহবধূকে হাসপাতাল থেকে বাড়িও ফিরিয়ে নিয়ে আসেন তাঁর স্বামী। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হন তিনি।
মৃতের স্বামী কুশ মণ্ডল জানিয়েছেন, তাঁর স্ত্রী মামনি মণ্ডল আগেও করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। এই নিয়ে দু’বার আক্রান্ত হলেন তিনি। প্রথমবারে ১৫ দিনের মাথায় সুস্থ হয়ে ওঠেন ওই গৃহবধূ। চলতি সপ্তাহের মঙ্গলবার উপসর্গ দেখা দেওয়ায় তাঁকে ফের করোনা পরীক্ষা করানো হয়। এরমধ্যেই তাঁর শ্বাসকষ্টও শুরু হয়। রিপোর্ট হাতে আসলে দেখা যায়, তিনি করোনা পজিটিভ। বুধবার রাতে বারাসতের কদম্বগাছি জিএনআরসি কোভিড হাসপাতালে ভরতি করা হয় তাঁকে।
চিকিৎসকদের বক্তব্য, ওই মহিলা মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। এই অবস্থায় শুক্রবার তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছুটি দিয়ে দেন চিকিৎসকরা। দুপুরে ওই বধূর স্বামী তাঁকে বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে আসেন। স্বামী কুশ মণ্ডল আরও জানিয়েছেন, এদিন তিনি ওষুধ কেনার জন্য বাজারের দিকে বেরিয়েছিলেন। সেই সময় ঘরে একাই ছিলেন মামনি। পরে স্বামী বাড়ি ফিরে এসে দেখেন ঘরের দরজা ভেতর দিক থেকে বন্ধ। বারবার ধাক্কা দেওয়ার সত্বেও স্ত্রী দরজা না খোলায়, প্রতিবেশীদের ডাকেন কুশবাবু। প্রতিবেশীরা ঘটনাস্থলে এসে দরজা খুলে দেখেন সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছে মামনি। খবর দেওয়া হলে পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।