বাসন্তীর ঝাড়খালিতে বিজেপি নেতার ওপর প্রাণঘাতী হামলায় ২ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল পুলিশ। তবে পরিবারের দাবি, মূল অভিযুক্ত তৃণমূলের উপপ্রধান দিলীপ মণ্ডল ও আরেক নেতা বিধান বাইনকে গ্রেফতার করেনি পুলিশ। ওদিকে বিজেপির দাবি, এখনো পরিবারকে হুমকি দিয়ে চলেছে তৃণমূলি দুষ্কৃতীরা। শুক্রবার আক্রান্ত বিজেপি নেতা অমল মণ্ডলকে দেখতে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে যান বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। ঘটনার দায় অস্বীকার করেছে তৃণমূল।
এদিন আক্রান্ত বিজেপি অমল মণ্ডলের স্ত্রী সর্বাণী মণ্ডল এদিন সকালে জানান, ‘অমলবাবুর অবস্থা খুব ভালো নয়। ৪৮ ঘণ্টা না কাটলে নিশ্চিতভাবে কিছু বলা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। অনেক পরীক্ষা হয়েছে। তার রিপোর্ট এলে বোঝা যাবে ওষুধেই সেরে যাবে না অস্ত্রোপচার করতে হবে’।
এদিন হাসপাতালে গিয়ে অমলবাবুর সঙ্গে দেখা করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। এর পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ‘তাঁর দোষ এই যে সে বিরোধী দল করে। সেজন্য তাঁকে বাঁশ দিয়ে মারা হয়েছে। তার দোকান দখল করে নেওয়া হয়েছে। সেখানে তৃণমূলের পতাকা লাগানো হয়েছে। বাড়ির সামনে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবিসহ ব্যানার লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে'।
মজা করে দাদা বলেছিলেন ‘ফোঁটা নেব না’, ঘরে ঢুকে আত্মঘাতী হল অভিমানী কিশোরী
তাঁর দাবি, ওখানকার উপপ্রধান ৭০ – ৮০ জন গুন্ডা পোষেন। তারা এই অকথ্য অত্যাচার করে। সাত আট জনের নাম এফআইআরে আছে। তাদের গ্রেফতার করা হয়নি। উলটে পরিবারের লোককে বিভিন্ন ভাবে হুমকি দিচ্ছে এই সমস্ত দুষ্কৃতীরা। তারা বলছে, বাড়িতে ফিরলেই হামলা হবে। এখনো পরিবার বাড়ি ফিরতে পারেনি। পরিবারকে সামাজিক বয়কট করে রাখা হয়েছে। তাদের পরিবারের ২টি শিশুকে কোনও পুজোয় যেতে দেওয়া হয় না। শুনলে আপনার মনে হতে পারে এটা উত্তর কোরিয়া বা আফগানিস্তান। না, এটা পশ্চিমবঙ্গ। আমাদের দিদিমণির এগিয়ে বাংলা পশ্চিমবঙ্গ’।
পরিবারের দাবি, মূল অভিযুক্ত তৃণমূলের উপপ্রধান দিলীপ মণ্ডল ও আরেক নেতা বিধান বাইনকে গ্রেফতার করেনি পুলিশ। যদিও পুলিশের দাবি, তাদের নাম FIR-এ নেই।