পায়ের সমস্যা নিয়ে চিকিৎসকের দ্বারস্থ হয়েছিলেন রোগিণী। চলছিল অস্ত্রোপচার। আর সেই অস্ত্রোপচারের টেবিলেই রোগিণীকে চড় থাপ্পড়, এমনকি চুলের মুঠি ধরে ঝাঁকিয়ে দিলেন সার্জেন। এমনই অমানবিক ঘটনার অভিযোগ উঠেছে যোধপুর পার্কের নার্সিংহোমের অর্থোসার্জেন রামেন্দু হোম চৌধুরীর বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যেই ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন রোগিণীর পরিবার।
পরিবারের অভিযোগ, কালীপুজোর দিন বাঁ পায়ে চোট পেয়েছিলেন কসবার ওই মহিলা। এরপর গত ১০ নভেম্বর তার পায়ে একটি প্লেট বসানো হয়। ওই চিকিৎসক তাদের পরিচিত ছিলেন। সেই কারণেই ওই চিকিৎসকের কাছে তিনি অস্ত্রপচার করেছিলেন। কিন্তু, গত মাসে পায়ের হাড়ের একটি জায়গায় গর্ত লক্ষ্য করার পাশাপশি বুঝতে পারেন যে পায়ের স্ক্রু ঢিলে হয়ে গিয়েছে। এরপর আবার তারা ওই চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করলে চিকিৎসক তাদের একটি ছোট অপপ্রচার করার পরামর্শ দেন। সেইমতো গত ৮ এপ্রিল ওই নার্সিংহোমে তার অস্ত্রোপচার হয়।
অভিযোগ, অস্ত্রোপচারের সময় লোকাল অ্যানাস্থেশিয়া করার কথা থাকলেও তাতে কাজ হয়নি। ফলে অস্ত্রোপচারের সময় প্রচন্ড যন্ত্রণায় চিৎকার-চেঁচামেচি করছিলেন রোগিণী। সেই সময় তাকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। রোগিণীর অভিযোগ, ‘প্রচণ্ড যন্ত্রণা করায় আমি চিৎকার-চেঁচামেচি করছিলাম। আমাকে প্রথমে ধমক দেওয়া হয় তারপরে গালে থাপ্পড় এবং চুলের মুঠি ধরে মারধর করেন করেন ওই চিকিৎসক। এই কথা শোনার পরে অভিযোগ দায়ের করেছেন রোগিণীর ছেলে। রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলেও তিনি অভিযোগ করেছেন বলে জানান। রোগিণীর পরিবারের দাবি, নিঃশর্তভাবে ক্ষমা চাইতে হবে ওই চিকিৎসককে।
অন্যদিকে, রোগিণীকে মারধরের কথা পুরোপুরি অস্বীকার করে দিয়েছেন ওই চিকিৎসক। তাঁর বক্তব্য, ‘রোগিণী অস্ত্রোপচারের সময় পা নাড়াচ্ছিলেন বলে আমি ধমক দিয়েছিলাম। তবে মারধর করার অভিযোগ পুরোপুরি মিথ্যা। আমি ওটিতে একা ছিলাম না আরও অনেকেই ছিল। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে জানা যাবে।’ বর্তমানে এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসা করাচ্ছেন ওই রোগিণী।