বিজেপি আর কংগ্রেসের বিরুদ্ধে পরিবারতন্ত্রের অভিযোগ তুলে বার বার সরব হন তৃণমূল নেতৃত্ব। বার বার ওঠে অমিত শাহ, শুভেন্দু অধিকারীর প্রসঙ্গে। ওঠে গান্ধী পরিবারের কথাও। এবার তৃণমূলের বিরুদ্ধে পালটা পরিবারতন্ত্রের খোঁচা দিলেন বিজেপি নেতৃত্ব। বুধবার যুব তৃণমূলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি তৈরি হয়েছে। আর সেই তালিকায় নেতামন্ত্রী সন্তান সন্ততিতের একেবারে ছড়াছড়ি। কেউ আগে থেকেই ছিলেন কমিটিতে। কেউ আবার নতুন করে এলেন এই কমিটিতে। এবার এনিয়ে বিঁধলেন বিজেপি নেতৃত্ব।
দল সূত্রে খবর, ৪৭জনের কমিটিতে সাধারণ সম্পাদকের সংখ্যা ১৭জন। সেখানে একেবারে লাইন দিয়ে নেতা মন্ত্রীদের পুত্র কন্য়ারা। এনিয়ে দলের নীচুতলাতেও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
সেই তালিকায় রয়েছেন মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের পুত্র, মন্ত্রী শশী পাঁজার মেয়ে পূজা পাঁজা, তৃণমূল নেতা সঞ্জয় বক্সির পুত্র সৌম্য বক্সি, মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্য়ায়ের পুত্র সায়নদেব চট্টোপাধ্য়ায়, বামেদের প্রয়াত মন্ত্রী ক্ষিতি গোস্বামীর কন্য়া বসুন্ধরা গোস্বামী। দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সির পুত্র সপ্তর্ষি বক্সি, প্রয়াত মন্ত্রী সাধন পাণ্ডের মেয়ে শ্রেয়া পাণ্ডে, বিধায়ক অতীন ঘোষের মেয়ে প্রিয়দর্শনী ঘোষ, স্বর্ণকমল সাহার পুত্র অর্পণ সাহা, শঙ্কর সিংহের পুত্র শুভঙ্কর সিংহ একেবারে উল্লেখযোগ্য পদ পেয়েছেন।
এদিকে পিসি-ভাইপোর কোম্পানি বলে তৃণমূলকে বার বার কটাক্ষ করেন বিজেপি নেতৃত্ব। এবার সেই দলে কার্যত পরিবারতন্ত্রের বড়় ছায়া।
এনিয়েশুভেন্দু অধিকারীকে খোঁচা দিয়ে তৃণমূল নেতৃত্ব বলেন, অধিকারী বাড়ির সকলেই তো রাজনীতিতে। সেটাও কি পরিবারতন্ত্র?
বিজেপির দাবি, তৃণমূলের পুরোটাই পরিবারতন্ত্র। নেত্রী মমতা বন্দ্য়োাপাধ্য়ায়ের যেমন উত্তরাধিকারী রয়েছেন, তেমনি নীচুতলাতেও রয়েছে পরিবারতন্ত্র। আর শুভেন্দু অধিকারী বা সজল ঘোষ রীতিমতো লড়াই করে রাজনীতিতে জায়গা পেয়েছেন। রাজনীতিবিদের সন্তান হিসাবে লিফটে করে নেমে আসেননি।
তবে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, নেতা নেত্রীর সন্তান হলে অগ্রাধিকার মেলে, পদ মেলে এটা অস্বীকার করা যায় না। বাকি অনেকেই সারাজীবনই পড়ে থাকেন পেছনের সারিতে।