দুচাকার বাহনকে বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহারের ছাড়পত্র দিতে নতুন আইন করল রাজ্য সরকার। মঙ্গলবার রাজ্য বিধানসভায় পাশ হয়েছে এই আইন। এই আইনে মাত্র ২০০০ টাকা কর দিয়ে বাণিজ্যিকভাবে ২ চাকার যান ব্যবহার করাকে বৈধতা দেওয়া হয়েছে। মোট ১০,০০০ মোটরবাইক বাণিজ্যিক ভাবে চালানোর অনুমতি দেবে সরকার।
মঙ্গলবার ছিল রাজ্য বিধানসভার চলতি অধিবেশনের শেষ দিন। করোনাভাইরাস সংক্রমণের আশঙ্কায় বুধবার থেকে অধিবেশন মুলতুবি করে দিয়েছেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। অধিবেশনের শেষ দিনে পাশ হল ওয়েস্ট বেঙ্গল মোটর ভেহিকলস অ্যাক্ট ২০২০।
খাবার ডেলিভারি অ্যাপ ও পার্সেল ডেলিভারি ব্যবস্থার সৌজন্যে বাণিজ্যিক ভাবে মোটর সাইকেলের ব্যাবহার রোজই বাড়ছে। সঙ্গে রয়েছে বাইক ট্যাক্সিতে কর্মসংস্থানের বিপুল সম্ভাবনা। কিন্তু সেজন্য নিয়ম মেনে মোটরসাইকেলের কমার্শিয়াল রেজিস্ট্রেশন করতে গেলে এতদিন গুণতে হত মোটা টাকা। ফলে ব্যক্তিগত রেজিস্ট্রেশনের মোটরসাইকেলকেই বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহার করেন অনেকে। এই প্রবণতা রুখতে কমানো হয়েছে ২ চাকার যানের রেজিস্ট্রেশন ফি।
জানা গিয়েছে, বাইক ট্যাক্সি রেজিস্ট্রেশন ফি ৫০০ টাকা থেকে কমিয়ে করা হয়েছে পারমিট ফি ১০,০০০ টাকা থেকে কমিয়ে করা হয়েছে ২,০০০ টাকা।
রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছেন, ‘বিধাননগর ও নিউ টাউনে বর্তমানে ৬৮টি বাইক ট্যাক্সি রয়েছে। কিন্তু এই ক্ষেত্রে প্রচুর কর্মসংস্থানের সুযোগ রয়েছে। সঙ্গে কম খরচে গন্তব্যে পৌঁছনোর সুযোগ রয়েছে মানুষের কাছে।’
বাইক ট্যাক্সিতে থাকবে হলুদ নম্বর প্লেট। থাকবে রেইন কোট, হেলমেট। গতি নিয়ন্ত্রণে থাকবে স্পিড রেগুলেটর।