শহরজুড়ে অ্যাপ–ক্যাব নিয়ে বিস্তর অভিযোগ ছিল যাত্রীদের। আর তার সমাধানকল্পে নির্দেশিকা জারি করেছে রাজ্য সরকার। এই নির্দেশিকাকে সমর্থন করেছে কয়েকটি শ্রমিক সংগঠন। যাত্রী হয়রানি থেকে অতিরিক্ত ভাড়া নিয়ন্ত্রণে আনতেই জারি হয়েছে নির্দেশিকা। এমনকী চালক থেকে পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থাগুলিকে নিয়ন্ত্রণে আনতে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। যদিও ক্যাব সংস্থাগুলি নীরব।
জানা গিয়েছে, ২০১৫ সালেও অ্যাপ–ক্যাব নিয়ে নির্দেশিকা জারি করেছিল রাজ্য সরকার। কিন্তু সেখানে উল্লেখ করা একাধিক শর্ত পালন করেনি অ্যাপ–ক্যাব সংস্থাগুলি। বরং তাদের আচরণ প্রতিনিয়ত যাত্রীদের সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। এবার তা মেটাতে ফের উদ্যোগী হয়েছে রাজ্য সরকার। সেখানে এখন সংস্থাগুলির উদাসীন মনোভাব প্রকাশ পাচ্ছে।
এবার রাজ্যের নির্দেশিকায় অ্যাপ–ক্যাবে যাত্রী সুরক্ষার স্বার্থে এআইএস–১৪০ ব্যবস্থা বসাতে বলা হয়েছে। কোনও চালক যাতে টানা ১২ ঘণ্টার বেশি গাড়ি চালাতে না পারেন, তা নিশ্চিত করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বুকিংয়ের পর বাড়তি সময় নেওয়া, বাতিল করা, বাড়তি ভাড়া নেওয়া নিয়ে যাত্রী হয়রানি বাড়ে বলে অভিযোগ উঠেছে। তাই এই নির্দেশিকা জারি।
এই নয়া নির্দেশিকা নিয়ে সিটুর অ্যাপ–ক্যাব চালক সংগঠনের সভাপতি ইন্দ্রজিৎ ঘোষ বলেন, ‘এই প্রথম সরকার ক্যাব সংস্থাগুলিকে নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ করায় স্বাগত জানাচ্ছি। মহিলা যাত্রীদের সুরক্ষা ছাড়াও ক্যাবের ভাড়ার ৮০ শতাংশ চালককে দেওয়ার সিদ্ধান্তকে সমর্থন করছি।’ আর ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল অনলাইন ক্যাব অপারেটর্স গিল্ড’–এর সাধারণ সম্পাদক ইন্দ্রনীল বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘এই নির্দেশিকা বাস্তবায়িত করার বিষয়ে প্রশাসনকে উদ্যোগী হতে হবে।’