উত্তরপাড়ার দাশরথি অ্যাপার্টমেন্টের বাসিন্দা ইমন। বাবার সঙ্গে থাকেন তিনি। বুধবার দুপুরে সেখানে পৌঁছন সাংবাদিকরা। অনেক ডাকাডাকি করেও বাড়ির কাউকে দেখা যায়নি।
ইমন গঙ্গোপাধ্যায়ের ফ্ল্যাটের দরজা।
নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে এবার ইডির স্ক্যানারে অয়ন শীলের ছেলের বান্ধবী। ইমন গঙ্গোপাধ্যায় নামে এই তরুণী হুগলির উত্তরপাড়ার অমরেন্দ্র সরণির দাশরথি অ্যাপার্টমেন্টের বাসিন্দা। ED-র দাবি, অয়নের অ্যাকাউন্ট থেকে মোটা টাকা গিয়েছে এই ইমনের অ্যাকাউন্টেও।
নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার অয়ন শীলের কালো টাকা আত্মীয় পরিজন, এমনকী বান্ধবীর অ্যাকাউন্টেও পাচার হয়েছে বলে জানতে পেরেছেন গোয়েন্দারা। এমনকী কালো টাকা সাদা করতে অয়ন ছেলে অভিজিতের বান্ধবীকেও ব্যবহার করেছেন বলে দাবি তদন্তকারীদের। গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, হুগলিতে অয়নের একটি পেট্রল পাম্প রয়েছে। সেই পাম্প চালান তাঁর ছেলে অভিজিৎ। সেই কারবারের টাকা অভিজিতের বান্ধবী ইমনের অ্যাকাউন্টে গিয়েছে বলে গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন।
উত্তরপাড়ার দাশরথি অ্যাপার্টমেন্টের বাসিন্দা ইমন। বাবার সঙ্গে থাকেন তিনি। বুধবার দুপুরে সেখানে পৌঁছন সাংবাদিকরা। অনেক ডাকাডাকি করেও বাড়ির কাউকে দেখা যায়নি। গোয়েন্দাদের অনুমান, ইমনের নামে এই অ্যাকাউন্ট তিনি নিজে চালাতেন না। সম্ভবত অ্যাকাউন্ট চালাতেন অয়ন নিজে।
এর আগে ঘনিষ্ঠ মডেল শ্বেতা চক্রবর্তীর অ্যাকাউন্টে অয়ন প্রায় ৫৫ লক্ষ টাকা পাঠিয়েছিলেন বলে জানিয়েছে ইডি। তদন্তে নেমে অয়নের ছেলে অভিজিৎ ও বাবা সদানন্দ শীলের অ্যাকাউন্টও খতিয়ে দেখতে শুরু করেছেন গোয়েন্দারা।