নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার প্রোমোটার আরও ৮টি ফ্ল্যাটের খোঁজ পেল ইডি। গত ১ সপ্তাহে এই ৮টি ফ্ল্যাটের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা। যার ফলে এখনও পর্যন্ত অয়নের ১৬টি ফ্ল্যাটের খোঁজ পেল ইডি।
ইডি সূত্রে খবর, অয়নের আরও ৮টি ফ্ল্যাটের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। এগুলি প্রায় সবই হুগলিতে বিভিন্ন আত্মীয়ের নামে কেনা। এছাড়া শ্বেতা চক্রবর্তীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ও নিজের সংস্থার কর্মীদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে টাকা পাচার করতেন তিনি।
অয়নের বিধাননগরের অফিসে তল্লাশি চালিয়ে যে নথি উদ্ধার হয়েছে তাতে অন্তত ৬০টি পুরসভার নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে বলে স্পষ্ট। এর মধ্যে রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনার দমদম ও বারকপুর শিল্পাঞ্চলের প্রায় সমস্ত পুরসভা। অত্যন্ত প্রভাবশালীদের মদতে এই দুর্নীতি হয়েছে বলে জানিয়েছে ইডি। চাকরি দেওয়ার নাম করে অয়ন শীল বাজার থেকে প্রায় ২০০ কোটি টাকা তুলেছেন বলে দাবি ইডির।
পুরসভা নিয়োগ দুর্নীতিতে ইতিমধ্যে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। আদালতের নির্দেশে সোমবারই FIR দায়ের করেছে সিবিআই। সেকথা আদালতকে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা। অয়নের সম্পত্তির ব্যাপারে জানতে তাঁর ছেলে অভিষেকের বন্ধবী ইমন বন্দ্যোধ্যায়কে ডেকে পাঠিয়েছে সিবিআই।