বিজেপির নবান্ন অভিযানে কিছু গোলমাল ছাড়া বিশেষ প্রভাব পড়েনি মহানগরে। তিন দিক থেকে ঘিরে ফেলা যায়নি। বরং বাড়াবাড়ি করতে গিয়ে জলকামান, কাঁদানে গ্যাস, লাঠিচার্জ খেতে হয়েছে। আর তারপরই শুক্রবার রাজ্য জুড়ে থানা ঘেরাও অভিযানে নেমেছে বিজেপি। নবান্ন অভিযানের নামে তাণ্ডব করতে গিয়ে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন বিজেপি কর্মীরা। তারই প্রতিবাদে এদিন থানা ঘেরাও অভিযানের ডাক দিয়েছে বিজেপি। লালবাজার অভিযান শুরু করতে গিয়ে পুলিশের ব্যারিকেডে তা আটকে গেল। ফলে শুরুর আগেই শেষ হয়ে গেল কর্মসূচি।
ঠিক কী ঘটেছে কলেজ স্কোয়ারে? বিজেপি আজ লালবাজার ঘেরাও কর্মসূচি নিয়েছিল। বিজেপির যুব মোর্চার পক্ষ থেকে লালবাজার অভিযানের ডাক দেওয়া হয়। তাই দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ কলেজ স্কোয়ারে জমায়েত করা হয়। সেখান থেকে লালবাজার ঘেরাও কর্মসূচি শুরু হওয়ার কথা ছিল। উত্তর কলকাতা এবং দক্ষিণ কলকাতা জেলা কমিটির পক্ষ থেকে এই কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু দেখা গেল মিছিল শুরুর আগেই ব্যারিকেড করে আটকে দিল পুলিশ। ফলে আর ঘেরাও করা গেল না লালবাজার। তাই ব্যাক টু দি প্যাভেলিয়ন করতে হল বিজেপি কর্মীদের।
আর কী দেখা গেল সেখানে? এই লালবাজার ঘেরাও অভিযান করতে গিয়ে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে জমায়েত করে বিজেপির যুব মোর্চার কর্মী–সমর্থকরা। কলেজ স্কোয়ার থেকে বেন্টিঙ্ক স্ট্রিট এগিয়ে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পুলিশ আটকে দিয়েছে। তাই কলেজ স্কোয়ারেই বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। তবে এদিন খেলনা বন্দুক নিয়ে প্রতীকী প্রতিবাদ দেখান বিজেপির যুব মোর্চার কর্মী–সমর্থকরা। কারণ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এসএসকেএম হাসপাতালে আক্রান্ত পুলিশ অফিসারের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে মন্তব্য করেছিলেন, তিনি হলে মাথায় গুলি করতেন। তাই এই প্রতিবাদ।
আর কী জানা যাচ্ছে? এদিন কলকাতা–সহ বিভিন্ন জেলায় বিক্ষোভ দেখান বিজেপি কর্মী–সমর্থকরা। তবে তেমন কোনও প্রভাব পড়েনি। সল্টলেক, বাঁকুড়া, বর্ধমান, বারুইপুর, আরামবাগ, দুর্গাপুর–সহ নানা প্রান্তে প্রতিবাদে সামিল করে বিজেপি। তবে বিজেপির লালবাজার অভিযান কলেজ স্কোয়ারে আটকে যাওয়ায় হাসির রোল উঠেছে শহরে।