মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখন স্পেন থেকে দুবাই পৌঁছেছেন। বিদেশ সফরে গিয়ে বাংলার জন্য লগ্নি নিয়ে আসাই তাঁর মূল লক্ষ্য। আর দু’দিন পরই রাজ্যে ফিরবেন তিনি। এই বিদেশ সফরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনেক ছবি–ভিডিয়ো সামনে এনেছে তৃণমূল কংগ্রেস। যা দেখা যাচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। রাস্তায় প্রাতঃভ্রমণ করা থেকে শুরু করে শিল্প বৈঠক করছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আবার রাস্তায় পিয়ানো বাজিয়ে সকলকে চমকেও দিয়েছেন। এবার এই সফরের খরচ নিয়ে আরটিআই করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
এই বিদেশ সফরে মুখ্যমন্ত্রী চষে বেড়িয়েছেন এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে। ক্রীড়া থেকে শিল্প—কোনও ক্ষেত্রই তিনি বাদ দেননি। সব ক্ষেত্র থেকেই বাংলায় লগ্নি টানার চেষ্টা করেছেন। এমনকী স্পেনের বাঙালিদের সঙ্গে আলোচনাসভায় অংশগ্রহণ করতেও দেখা গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রীকে। এখন প্রশ্ন তোলা হয়েছে, এই ১১ দিনের বিদেশ সফরে কত খরচ হল? সেই তথ্য জানার অধিকার রাজ্যের মানুষের আছে বলে মন্তব্য করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এই সফর নিয়ে বিস্তারিত তথ্য সামনে আনতে এবার আরটিআই করলেন তিনি।
এদিকে বিষয়টি নিয়ে পাত্তা দিতে চাইছে না তৃণমূল কংগ্রেস। কারণ বিজেপি বাংলার ভাল চায় না এটা মানুষজন জানেন। সেটা আরও স্পষ্ট হল শুভেন্দুর এই আরটিআই– এর মাধ্যমে বলে মনে করছেন তাঁরা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিদেশ সফর নিয়ে নানা প্রশ্নের উত্তর চেয়ে আরটিআই করেছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। এক্স–হ্যান্ডেলে তা পোস্ট করেছেন সেই আবেদনপত্র। তাঁর দাবি, ঋণে জর্জরিত রাজ্য এবং কোষাগারের টানাটানি অবস্থায় এত বিপুল খরচ কেমন করে করা হচ্ছে? সেটা জানা প্রয়োজন বলে তিনি মনে করেন। রাজ্যের শিল্প ও বাণিজ্য দফতর, তথ্য ও সংস্কৃতি দফতর এবং পর্যটন দফতরের কাছে তথ্য চেয়েছেন বিরোধী দলনেতা।
আরও পড়ুন: ‘ঘাড় ধাক্কা দিয়ে সবাইকে বের করে দেব’, মমতার ফোন পেয়ে কড়া বার্তা বক্সির
অন্যদিকে কতজন গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হিসেবে? সেই সফরসঙ্গীদের নাম ও পদ কী কী? আরটিআই করে জানতে চেয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। এই সফরে কারা মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গী হবেন সেটা কীসের নিরিখে বাছা হয়েছে? কতজন সফরসঙ্গী মাঝপথে যোগ দিয়েছেন? এমন সব প্রশ্নের উত্তর চেয়েছেন শুভেন্দু। একইসঙ্গে ১১ দিনের বিদেশ সফরের মোট খরচ কত? তাও জানতে চাওয়া হয়েছে। আর জানতে চেয়েছেন, বিমানের ভাড়া, হোটেলের খরচ, বিদেশের মাটিতে গাড়ির খরচ–সহ নানা কিছু জানতে চেয়ে আরটিআই করেছেন বিজেপি বিধায়ক। তবে এই আরটিআই কতটা যুক্তিযুক্ত তা নিয়ে অনেকে পাল্টা প্রশ্ন করছেন।