এখন তিনি আর কোনও সংগঠনের পদে নেই। কোপ পড়ে এখন তিনি শুধুই সাংসদ। মন খারাপ নিয়েও জনসংযোগ করছেন। তবে এখন তিনি বেশি কথা বলেন না। তবে খবর সবই রাখেন। জেলায় বেশি সময় কাটান। তাই শহরে বিশেষ দেখা যাচ্ছে না। বিজেপির এই সাংসদ নেতার হাত ধরেই বঙ্গে একাধিক পদ্ম ফুটেছিল। কিন্তু এখন তিনি কোণঠাসা। দলের অন্দরে বাড়তে থাকা ক্ষোভ নিয়ে এবার পথদিশা দিলেন রাজ্য নেতৃত্বকে। হ্যাঁ, তিনি দিলীপ ঘোষ। মুখ খুললেন অনেকদিন পর। আজ, বৃহস্পতিবার প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে পুরনো মেজাজেই মুখ খুললেন, দলের মধ্যে বেড়ে চলা ক্ষোভ নিয়ে। তাতেই একদিকে দিশা দেখালেও আর একদিকে থাকল কড়া বার্তা।
এদিকে এখন রাজ্য পার্টিতে চলছে সুকান্ত–শুভেন্দু কেমিস্ট্রি। আর তাতে দিলীপ এখন কোণঠাসা। আবার বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। তার মধ্যেই বেড়ে চলেছে দলের অন্দরে ক্ষোভ–বিক্ষোভ। আদি–নব্যের ক্যাঁচালে তপ্ত হয়ে উঠছে পদ্মশিবিরের বাতাবরণ। এই গোটা বিষয়টি নিয়ে কেউ কোনও বার্তা দিচ্ছে না। তাই আজ দিলীপ ঘোষ মুখ খুলতে বাধ্য হলেন। খড়গপুরের সাংসদ বলেন, ‘নতুনদের মতো পুরনোদের কথাও শোনা দরকার। তা না হলে দলের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে। আর সেটা মাঝেমাঝে প্রকাশ্যে চলে আসছে।’ সুতরাং আদি বা পুরনোদের কথা যে রাজ্য নেতৃত্বের শোনা দরকার সেই পথদিশা দিলেন তিনি।
কিন্তু দিলীপের দেখানো পথের দিশায় রাজ্য নেতৃত্ব হাঁটবে কিনা তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ আছে। আজ এই মন্তব্য এমন সময় করলেন দিলীপ ঘোষ যখন বৃহস্পতিবার বাংলার দায়িত্বপ্রাপ্ত বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতিতে বিশেষ সাংগঠনিক বৈঠক রয়েছে সল্টলেকের দফতরে। আবার আজই ‘বিজেপি বাঁচাও কমিটি’র নামে নানা জেলা থেকে মুরলিধর সেন লেনে দলের রাজ্য অফিসের সামনে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। এই ক্ষোভের মূল কারণ হল, বিজেপিতে নতুনদের জায়গা দেওয়া হচ্ছে। আর পুরনোদের বঞ্চিত করা হচ্ছে। আর তা নিয়েই এবার মুখ খুললেন বিজেপির শীর্ষ নেতা তথা মেদিনীপুরের সাংসদ দিলীপ ঘোষ।
আরও পড়ুন: কদিন পরই দুর্গাপুজো, হাওড়া–শিয়ালদায় হাই অ্যালার্ট জারি করল পূর্ব রেল
ঠিক কী বলেছেন বিজেপি সাংসদ? ইতিমধ্যেই দেখা গিয়েছে নানা জেলার পার্টি অফিস এবং রাস্তায় বিক্ষোভে ফেটে পড়েছেন বিজেপি নেতা–কর্মীরা। এমনকী কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী তথা বাঁকুড়ার সাংসদ সুভাষ সরকারকে পার্টি অফিসে আটকে রাখার ঘটনা সবাই দেখেছেন। চারিদিকে মাথাচাড়া দিচ্ছে আদি–নব্যের দ্বন্দ্ব। এই বিষয়টি নিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘দল বড় হচ্ছে তাই ক্ষোভ–বিক্ষোভ বাড়ছে। নতুনদের জায়গা দিতে হবে। কিন্তু পুরনোদের কথাও তো শোনা উচিত। শুনে একটা সমাধান করা উচিত। আমি এখন কোনও সাংগঠনিক পদে নেই। তাই সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে আর কথা বলা হয় না সেভাবে। তবে এখন কিছু কথা বলা দরকার বলে মনে হল। তাই আজ বললাম।’