তৃণমূলে ঘর ওয়াপসি ঘটতে চলেছে বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁয়ের? সংসদের বাদল অধিবেশনের ঘটনাক্রমের পর থেকে এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে রাজনীতির অলিন্দে। নয়াদিল্লিতে বিজেপির অন্দরে এই চর্চা শুরু হয়েছিল। সম্প্রতি সৌমিত্র খাঁয়ের সঙ্গে দেখা হয়েছিল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তারপর থেকেই এই নিয়ে চর্চা তুঙ্গে ওঠে। তবে এত কিছুর পরও তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদানের জল্পনা উড়িয়ে দিলেন বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যাওয়ার জল্পনা ওড়ালেন বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ।
বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। তাই দলবদল ঘটবে বিভিন্ন নেতার সেটাই দস্তুর। তাই সূত্রের খবর, সংসদের বাদল অধিবেশনের প্রথম দিনে সেন্ট্রাল হলে অভিষেকের সঙ্গে দেখা হয় সুকান্ত মজুমদারের। দু’জনে কুশল বিনিময় করেন। তারপর সৌমিত্র খাঁয়ের সঙ্গে দেখা হতে তিনি অভিষেককে বলেন, ‘দলকে খুব ভাল নেতৃত্ব দিচ্ছেন।’ তবে অভিষেকের সঙ্গে দেখা এবং তাঁর প্রশংসা করার বিষয়ে ভ্রু কুঁচকাচ্ছেন বিজেপি নেতারা। তখন থেকেই বিভিন্ন মহল থেকে দাবি করা হয় যে, সৌমিত্র খাঁ তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরতে পারেন। তৃণমূলের লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র এবং অপরূপা পোদ্দারের সঙ্গে খোশগল্প করতে দেখা যায় সৌমিত্র খাঁকে। তিনি গল্পে এতই মগ্ন ছিলেন যে, লকেট চট্টোপাধ্যায় বারবার ডাকলেও তিনি সাড়া দেননি বলে খবর।
এদিকে এই ঘটনার পর সৌমিত্রের প্রাক্তন স্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেসের বাঁকুড়া জেলা পরিষদ সদস্যা সুজাতা মণ্ডল বলেন, ‘বিজেপির অনেকে পদ হারাচ্ছেন। কে টিকিট পাবেন, কে পাবেন না তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। তাই তাঁরা তৃণমূলে আসার চেষ্টা করছেন। কিন্তু তাঁদের মতো আবর্জনার জায়গা তৃণমূলে হবে না। অমিত শাহ বলছেন ৩৫টি আসন পাবেন। সৌমিত্র খাঁ বলছেন ২২টি আসন পাবেন। আগে তাঁরা ঠিক করুন কতগুলি আসন তাঁরা পাবেন’। তবে তৃণমূলের বিরুদ্ধে আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়িয়ে এই গুঞ্জন চাপা দেন বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ।
আরও পড়ুন: ‘রাজভবনে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের নামে চেয়ার প্রতিষ্ঠা করতে চাই’, ঘোষণা রাজ্যপালের
ঠিক কী বলছেন সৌমিত্র খাঁ? তাঁর তৃণমূল কংগ্রেসে ফেরার সম্ভাবনা একেবারেই নস্যাৎ করে দিয়েছেন বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। এই বিষয়ে সৌমিত্র খাঁ বলেন, ‘২০১৯ সালে বিজেপিতে যোগদানের পর থেকে এসব মাঝে মাঝেই রটে যায়। সৌমিত্র খাঁ অন্য কোনও দলে চলে যাচ্ছেন। এসবই ভ্রান্ত ধারণা। আমি দলের কাজ করে যাচ্ছি। বাংলায় আমরা ৩৫টি আসনের লক্ষ্যমাত্রা রেখেছি। তবে আমার ধারণা ২২টির বেশি আসনে বিজেপি জয়লাভ করবে’। লক্ষ্যমাত্রা থেকে নেমে আসার কারণ তিনি স্পষ্ট করে বলেননি। যদিও পঞ্চায়েত নির্বাচনে সৌমিত্র খাঁর গড়েই হেরেছেন বিজেপি প্রার্থী।