আজ গোয়ায় দুপুরে জনসভা রয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তার আগে সেখানে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়েছে গৃহলক্ষ্মী প্রকল্পের। আর তা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে আরবসাগরের তীরবর্তী রাজ্য থেকে বাংলা পর্যন্ত। এই প্রকল্প নিয়ে রবিবার কটাক্ষ করেছিলেন কংগ্রেস নেতা পি চিদম্বরম। আর সোমবার মুখ্যমন্ত্রীকে এই নিয়ে কটাক্ষ করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তাঁর কথায়, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গোয়ার মানুষকে ভিখারি মনে করছেন। তাই সেখানকার মানুষকে লোভ দেখাচ্ছেন।’
য়িক কী বলেছেন দিলীপ ঘোষ? আজ সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘উনি চেষ্টা করে যান। ত্রিপুরায় গিয়ে দেখেছেন। এবার গোয়ায় যাচ্ছেন। যেখানে পার্টি শুরু হয়নি, সেখানে গিয়ে নতুন করে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। গোয়ার মানুষকে লোভ দেখাচ্ছেন। বাংলার লোককে ভিখারি বানিয়েছেন। এখন গোয়ার লোককে এরকমই ভাবছেন হয়তো!’
আগামী ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে গোয়ায় বিধানসভা নির্বাচন। সেখানে সব রাজনৈতিক দলই ঝাঁপিয়ে পড়ার চেষ্টা করছেন। ইতিমধ্যেই সেখানে এমজিপি জোট করেছে তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে। আপ জোট করার প্রস্তাব দিয়েছে। সেখানের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লুইজিনহো ফেলেইরো এখন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ। তার উপর এই প্রকল্প ঘোষণা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
এই গৃহলক্ষ্মী প্রকল্প চালু হলে প্রত্যেক পরিবারের একজন করে মহিলা পাঁচ হাজার টাকা করে পাবেন। তবে সেটা অবশ্যই তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে। আর এই নিয়ে এখন রাজনৈতিক চাপানউতোর তুঙ্গে উঠেছে। তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই স্কিম চালু হলে উপকৃত হবে গোয়ার সাড়ে তিন লক্ষ পরিবার।
উল্লেখ্য, গোয়ার দায়িত্বপ্রাপ্ত কংগ্রেস নেতা তথা দেশের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম টুইটে লেখেন, ‘এই সহজ অঙ্কের জন্য অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার পাওয়া উচিত।’ পাল্টা তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ তথা গোয়ার দায়িত্বপ্রাপ্ত মহুয়া মৈত্র টুইট করেন, ‘অর্থনীতি বলে করোনা পরবর্তী সময়ে মানুষের হাতে আরও বেশি করে নগদ টাকা দেওয়া কথা, কারণ এর ফলে মানুষের সাহায্য হবে।’