আজ, মহাসপ্তমী। দুর্গোপুজোর আবহে মেতে উঠেছে গোটা রাজ্য। এই পরিস্থিতিতেও রাজ্য–রাজনীতি থেমে নেই। কারণ বিজেপির সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি তথা মেদিনীপুরের বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ এদিনও তৃণমূল কংগ্রেস ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে আক্রমণ করেছেন। আজ, সপ্তমীর সকালে নয়াদিল্লি যাওয়ার আগে কলকাতা বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে জোর সমালোচনা করেন তিনি।
ঠিক কী বলেছেন দিলীপ ঘোষ? তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ইজেডসিসি অডিটোরিয়ামে বিজেপির দুর্গাপুজো আসলে রাজনৈতিক দেউলীয়াপনার পরিচয়। এবার তাঁর পাল্টা মেদিনীপুরের সাংসদ বলেন, ‘ওরাও ভাড়া করেছে ৬০ হাজার টাকা দিয়ে। সব পুজোকে ভাড়া করেছে। না হলে একজনও ডাকবে না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। যদি টাকা না দেয়, বাকি চোরদেরকে কেউ ডাকবে না। সেই জন্য বড় বড় কথা না বলে গরিব লোকেদের টাকা নিয়ে পুজো ভাড়া করা হচ্ছে। আর উদ্বোধন করে ফুটানি দেখানো হচ্ছে। সেই টাকা দেওয়া বন্ধ করা হলে মুখের দিকে কেউ তাকাবে না।’
কেমন আক্রমণ করেছেন দিলীপ? হুগলির গুড়াপে দুর্গা প্রতিমার হাতে তৃণমূল কংগ্রেসের পতাকা দেখা গিয়েছিল। যদিও সেটা তৃণমূল স্তরের আবেগের বহিঃপ্রকাশ বলে মন্তব্য করেছিলেন কুণাল ঘোষ। সেই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে পাল্টা দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘বই প্রকাশ যেদিন হবে, গাছে বেঁধে পেটাচ্ছে, সেরকম হবে সবে শুরু হয়েছে। কতদূর যেতে হয় ওরা জানেন না। অসামাজিক চোর–ডাকাত দিয়ে পার্টি চলে। তাই পুজোকে অপবিত্র করা হচ্ছে, মন্ত্রকে অপবিত্র করা হচ্ছে। পিতৃপক্ষে পূজা উদ্বোধন করা হচ্ছে। অসামাজিক যত লোক তারা সেই পার্টির মধ্যে আছে।’
চাকরিপ্রার্থীরা নিজেদের অধিকারের লড়াইয়ে এখনও পথে। খোদ শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু একাধিকবার তাঁদের পরামর্শ দিয়েছেন দুর্গাপুজোর সময় ধর্না ছেড়ে পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতে। আর দিলীপ ঘোষের প্রতিক্রিয়া কী? আজ, রবিবার নয়াদিল্লি যাওয়ার সময় সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘তারা যে দাবি নিয়ে আন্দোলন করছে তাদের ১০০ ভাগ অধিকার আছে আন্দোলন করার। আর সেই দাবি মেটানো সরকারের দায়িত্ব। আমার বক্তব্য হচ্ছে দুর্গাপুজো এসে গিয়েছে। আন্দোলন চলতে থাকবে। বাংলায় সারা বছর আন্দোলন হয়। এই সরকারের বিরুদ্ধে সবাই আন্দোলন করছে। পুজোর কটা দিন বাড়িতে গিয়ে পুজোতে সময় দিন। কারণ আমরা জানি যে রাজত্বে বাস করছি সেখানে অধিকার ন্যায় পাওয়াটা মুশকিল। পরে আবার জোরদার আন্দোলন হবে।’