আগে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, সবাইকে মানিয়ে চলতে হবে। তারপরে হুঙ্কার ছিল, বিপ্লব করে খবরে থাকার চেষ্টা করবেন না। এবার বিক্ষুব্ধ নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার এবং রীতেশ তিওয়ারিকে শোকজ চিঠি ধরিয়েছে বঙ্গ–বিজেপি। লিখিতভাবে দুই নেতাকে উত্তর দিতে বলা হয়েছে। আজ, সোমবার বিষয়টি নিয়ে মুখ খুললেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
ঠিক কী বলেছেন দিলীপ ঘোষ? আজ ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমণ সেরে সংবাদমাধ্যমকে দিলীপ বলেন, ‘দলের অন্দরে কোন্দলের কোনও বিষয় নেই। পরিবর্তনের হাওয়ায় একটু আওয়াজ হয়। সে হতেই পারে। তাতে কোনও অসুবিধা নেই। পরিবর্তন মেনে নিতে সময় লাগে। সময় লাগবে। আর পার্টি যে কোনও সময়েই যে কোনও কর্মীকে শোকজ করতে পারে। যদি পার্টি মনে করে। তাতে কোনও অসুবিধার কিছু নেই। বাকিটা দলের ব্যাপার। দল বুঝে নেবে।’
এই শোকজের চিঠি পেয়ে এবার নয়াদিল্লির পথে রওনা দেবেন বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিক্ষুব্ধ বিজেপি নেতারা। এই যাত্রায় নেতৃত্ব দেবেন কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর। অমিত শাহ–জেপি নড্ডার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে রাজ্য নেতৃত্বের বিরুদ্ধে হেস্তনেস্ত করতে চান তাঁরা বলে সূত্রের খবর। সুতরাং দিলীপ ঘোষ বিষয়টি চাপা দিতে চাইলেও গৃহযুদ্ধ দেখতে পাওয়া যাচ্ছে।
শোকজ চিঠিতে কী লেখা ছিল? চিঠির বয়ান অনুযায়ী, ‘আপনি বেশ কিছুদিন ধরে সংবাদমাধ্যমে দলবিরোধী মন্তব্য করছেন, যা শৃঙ্খলাভঙ্গের শামিল। দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের নির্দেশে আপনাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হল। আপনার বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হবে না? তা লিখিত জানান।’ এই চিঠির প্রতিলিপি পাঠানো হয়েছে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এবং সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) অমিতাভ চক্রবর্তীকে।
এই বিষয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার জানান, পার্টির নিয়ম মেনেই শোকজ নোটিশ দেওয়া হয়েছে দুই নেতাকে। তাতে কোনও ভুল নেই। আর কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর বলেছেন, ‘ওরা যা করে করুক, আরও বিজেপি নেতারা বৈঠক করবেন।’ এখন দেখার এই বিদ্রোহের আঁচ কতদূর পর্যন্ত গড়ায়।