শুভেন্দু অধিকারীকে রাজ্য বিজেপির সভাপতি করা হতে চলেছে। ডিসেম্বর মাসের মধ্যেই তা ঘোষণা হতে চলেছে। আর শুভেন্দু অধিকারী বিরোধী দলনেতার পদে ইস্তফা দেবেন। নতুন বিরোধী দলনেতা করা হবে মনোজ টিগ্গাকে। সুকান্ত মজুমদারকে কেন্দ্রীয় সম্পাদক বা সংসদীয় দলের কোনও পদ দেওয়া হতে পারে বলে সূত্রের খবর। সাংগঠনিক রদবদল নিয়ে এখন এই সিদ্ধান্তই নেওয়া হয়েছে বলে খবর।
বিষয়টি ঠিক কী ঘটেছে? বিজেপির একটি সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, শুভেন্দু অধিকারীকে রাজ্য সভাপতি পদে নিয়ে আসার বিষয়টি নিয়ে সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) বিএল সন্তোষ সবার সঙ্গে কথা বলে ঠিক করে ফেলেছেন। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে কথা বলে চূড়ান্ত ঘোষণা করে দেওয়া হবে।
দিলীপ ঘোষকে নিয়ে কী ভাবা হচ্ছে? আরএসএস চাইছে বিজেপির রাজ্য সভাপতি পদে নিয়ে আসা হোক দিলীপ ঘোষকে। কিন্তু সেটা চাইছেন না কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। দিলীপ ঘোষ আবার রাজ্য সভাপতি হলে আদি– নব্যের দ্বন্দ্ব কেটে যাবে বলে মনে করছে আরএসএস। সেখানে সুকান্তের বিরুদ্ধে প্রচুর অভিযোগ উঠেছে। আর শুভেন্দু অধিকারী সর্বস্তরের আদি বিজেপি নেতাদের নিয়ে চলতে পারছেন না। কিন্তু কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব চাইছে দিলীপ ঘোষ সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি থাক। বরং বাড়তি দায়িত্ব হিসাবে অমিতাভ চক্রবর্তীর পদটি তাঁকে দেওয়া হতে পারে। তবে অভিতাভবাবুর কী হবে? সেটা এখনও ঠিক হয়নি।
কেন এমন রদবদল করা হচ্ছে? সূত্রের খবর, সুকান্ত মজুমদারকে নিয়ে দলের অন্দরেই অনেকে প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন। তাছাড়া একাধিক অভিযোগ তাঁর নামে জমা পড়েছে। সেটা তাঁকে ডেকে একবার জেপি নড্ডা জানিয়েও দিয়েছিলেন। আবার বছর ঘুরলেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। সেখানে এই পরীক্ষা–নিরীক্ষা করিয়ে সাফল্য আসে কিনা সেটাও দেখা হবে। শুভেন্দু একাধিক জেলায় আগে কাজ করে আসায় তাঁর একটা পরিচিতি আছে। সেটাকেই কাজে লাগাতে চাইছে বিজেপি। ইতিমধ্যে সুকান্ত মজুমদার অমিতাভ চক্রবর্তীকে ‘অযোগ্য’ নেতা বলে আক্রমণ করেছেন দলেরই সাংসদ সৌমিত্র খাঁ।