নিশীথ প্রামাণিক কি আদৌও ভারতের নাগরিক? তা নিয়ে শোরগোল ফেলেছেন বিরোধীরা। যদিও বিষয়টিকে পাত্তা দিতে নারাজ বিজেপি। বরং বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক নেতা সায়ন্তন বসুর দাবি, যদিও বা ধরে নেওয়া হয় যে নিশীথ বাংলাদেশের নাগরিক, তাহলেও তিনি তো হিন্দু উদ্বাস্তু। সেক্ষেত্রে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন অনুযায়ী, বাংলাদেশ থেকে সকল হিন্দু বাঙালি উদ্বাস্তুকে ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়া হবে।
রবিবার সকালে লেকটাউনের কালিন্দী বাজারে চা-চক্রের পর সায়ন্তন বলেন, ‘যাঁরা অভিযোগ করছেন, তাঁদের কাছে যদি প্রমাণ থাকে, প্রয়োজনীয় তথ্য থাকে, তাঁরা নির্বাচন কমিশনে যেতে পারেন। তাঁরা হাইকোর্টে সুপ্রিম কোর্টে যেতে পারেন। তাঁরা ভারতের রাষ্ট্রপতির কাছে যেতে পারেন।’
শুক্রবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী নাগরিকত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলেন অসমের কংগ্রেস সাংসদ রিপুন বোরা। তা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠিও লেখেন। পরে তিনি দাবি করেন, আদতে বাংলাদেশের পলাশবাড়ির বাসিন্দা নিশীথ। ভারতে কম্পিউটারের কোর্স করার জন্য এসেছিলেন। তারপর কোচবিহারেই থেকে যান। কোচবিহারের বাসিন্দা হিসেবে যে নথি পেশ করেছেন বিজেপি সাংসদ, তা ভুয়ো বলে দাবি করেন কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ। রিপুনের সেই চিঠি প্রকাশ্যে আসতেই ময়দানে নামে তৃণমূল। রাজ্যের শাসক দলের তরফে প্রশ্ন তোলা হয়, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী করার আগে কি নিশীথের যাবতীয় তথ্য খতিয়ে দেখা হয়নি?
যদিও সেই বিতর্ক নিয়ে মাথা ঘামাতে রাজি নয় বিজেপি। সায়ন্তন বলেন, ‘নিশীথ প্রামাণিক ভারতের নাগরিক। দ্বিতীয় কথা, তর্কের খাতিরে যদি ওই অভিযোগ মেনে নিই, তাহলেও নিশীথ প্রামাণিক হিন্দু উদ্বাস্তু। ভারতীয় জনতা পার্টি প্রত্যেক হিন্দু বাঙালি উদ্বাস্তুকে ভারতীয় মনে করে। সিটিজেনশিপ আমেন্ডমেন্ট অ্যাক্ট (সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন) পাস হয়ে গেছে। যাতে বাংলাদেশ থেকে আগত সমস্ত হিন্দুকে নাগরিকত্ব দেওয়া হচ্ছে। ফলে এই প্রশ্ন আর ওঠে না। আইনি দিক থেকেও কোনও ভিত্তি নেই, বাস্তবিক দিক থেকেও নেই। আমরা এই অভিযোগের কোনও গুরুত্ব দিচ্ছি না।’