রাজ্যে কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে। পানিহাটি, ঝালদা থেকে বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকারের গাড়িতে হামলা। এই ইস্যুকে সামনে রেখে বাংলায় এখন ৩৫৬ ধারা জারির হুমকি দিচ্ছে বিজেপি। একের পর এক নির্বাচনে তাদের পরাজয়ের মুখ দেখতে হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সংগঠন ভেঙে পড়েছে বিজেপির। আর তা চাঙ্গা করতে এই সরকার ভেঙে ৩৫৬ ধারা জারির কথা বলেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। আইনশৃঙ্খলার কথা তুলে রবিবার তিনি হমকি দিয়েছেন—এভাবে চললে রাজ্যে ৩৫৬ ধারা প্রয়োগ করতে বাধ্য হবে কেন্দ্রীয় সরকার।
ঠিক কী বলেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি? এদিন তিনি সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘রাজ্য সরকার ৩৫৬ ধারা জারি করার পথে হাঁটতে কেন্দ্রীয় সরকারকে বাধ্য করছে। রাজ্যজুড়ে যেভাবে পুলিশ প্রশাসনকে তৃণমূল কংগ্রেস দলীয় কাজে ব্যবহার করছে তা সত্যিই নজিরবিহীন। উত্তরপ্রদেশ থেকে শিক্ষা নিয়ে রাজ্য প্রশাসন পরিচালন করা উচিত এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর।’
সুকান্ত মজুমদার যখন এই হুমকি দিচ্ছেন তখন পাল্টা কড়া জবাব দিয়েছেন রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। ঠিক কী বলেছেন মন্ত্রী? এদিন তিনি পাল্টা তোপ দেগে বলেন, ‘উত্তরপ্রদেশের আইনশৃঙ্খলা সবাই জানে। ওখানে তো গব্বর সিংয়ের রাজত্ব চলছে। গণতন্ত্র বলে কিছু নেই। হাতরাস, উন্নাও থেকে লখিমপুর মানুষ দেখেছে। আসলে একের পর এক নির্বাচনে পরাজয় থেকে বিজেপি নেতাদের মধ্যে হতাশা জন্মেছে। এখন কেন্দ্রীয় সরকারের হস্তক্ষেপ নিয়ে আস্ফালন করা ছাড়া আর কিছু করার নেই তাঁদের। মানুষ ওদের প্রত্যাখ্যান করেছে। এখন পিছনের দরজা দিয়ে ঢোকার ষড়যন্ত্র করছে। ভুলে গিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গ শক্ত মাটি। তাছাড়া দেশে আইন–আদালত আছে।’
বিজেপির রাজ্য সভাপতির এই মন্তব্যে রাজ্য–রাজনীতি তোলপাড় অবস্থা। কারণ একটা নির্বাচিত সরকারকে কৌশলে ফেলে দিতে চাইছে তারা বলে মনে করা হচ্ছে। যে নির্বাচিত সরকার বিজেপিকে হারিয়ে ক্ষমতায় এসেছে। এমনকী প্রত্যেকটা নির্বাচনে হেরেছে। তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে প্রশ্ন তোলা হয়েছে, আইনশৃঙ্খলার দিকে তাকালে তো উত্তরপ্রদেশে আগে ৩৫৬ জারি করা উচিত। সেটা হবে কি? বাংলার অবস্থা অনেক ভাল।