নাম না করে বীরভূমের তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের উদ্দেশ্যে কটাক্ষ ছুড়ে দিলেন বিজেপির সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। জবাব দিলেন ‘অনুব্রত’ স্টাইলেই। তবে অন্য আঙ্গিকে। অনুব্রতর ভোটের সময়ে ‘নকুলদানা’ বিলির ধারা বজায় রাখলেন তিনিও। জানালেন, ‘আমি এমনি নকুলদানা খাওয়াচ্ছি না। রামমন্দিরের প্রসাদ খাওয়াচ্ছি।’
এদিন কারও নাম না করে দিলীপ জানান, ‘আমি রামমন্দিরের প্রসাদ নকুলদানা খাওয়াচ্ছি। সবাই জিজ্ঞাসা করছে, আপনি কেন নকুলদানা খাওয়াচ্ছেন। এতদিন যিনি নকুলদানা খাওয়াতেন, তিনি এখন হাসপাতালের ভাত খাচ্ছেন। সেই দায়িত্বটা তো নিতে হবে। আমি এমনি নকুলদানা খাওয়াচ্ছি না। রামমন্দিরের প্রসাদ খাওয়াচ্ছি। বাকি জীবনটা তো মনে হয় লালুপ্রসাদের মতো হাসপাতালেই কাটাতে হবে ওনাকে।’
দিলীপের এই বক্তব্য যে বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে লক্ষ্য করে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। উল্লেখ্য, বীরভূমের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে এর আগে ভোটের সময়ে নকুলদানা ও গুড় বাতাসা বিলি করতে দেখা গিয়েছিল। অনুব্রতের এই স্টাইল রাজ্য রাজনীতিতে জনপ্রিয়ও হয়।
এদিন ফের রাজ্যের অবনতির কথা বলে রাজ্য সরকারের সমালোচনায় সরব হলেন দিলীপবাবু। এই প্রসঙ্গে তিনি জানান, ‘৩৫৫ বা ৩৫৬ তো আমাদের হাতে নেই। মানুষ যাঁকে ভোট দিয়েছিল, ভেবেছিলেন রক্ষা করবেন, সেই তাঁকে খুন করছে। শাসক দলের লোকেদের লোকেরাই অত্যাচার করছেন। কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আবেদন করছি কেন্দ্রীয় সরকার মানুষের স্বার্থ সুরক্ষিত করুক।’ একইসঙ্গে বুদ্ধিজীবীদের উদ্দেশ্যেও কটাক্ষ ছুড়ে দেন তিনি। এই প্রসঙ্গে তিনি জানান, ‘হাঁসখালির ঘটনায় কোনও মোমবাতি মিছিল হয়নি কেন? আগে মোমবাতি দেখিয়ে পেট চলত। পেটে এত চর্বি হয়ে গিয়েছে যে হাঁটতে অসুবিধা হয়ে গিয়েছে। মোমবাতি দেখালে এখন দানাপানির অসুবিধা হয়ে যাবে। এঁদের কাছ থেকে কিছু আশা করবেন না।’