মাথায় ভারী বস্তু দিয়ে আঘাত করে স্ত্রীকে খুনের পর কেরোসিন ঢেলে দেহ জ্বালিয়ে দিয়েছিলেন স্কুল শিক্ষক স্বামী। এর পর আত্মহত্যার গল্প সাজিয়েছিলেন পরিবারের সদস্যরা। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে উঠে এল আসল সত্যি। তার পরই সূর্যকান্ত তিওয়ারি নামে অভিযুক্ত স্বামীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ঘটনা কলকাতার বহুবাজার থানা এলাকার যদুনাথ দে স্ট্রিটের।
নিহত বধূর নাম দীপ্তি শুক্লা। চার মাস আগে মূলত উত্তর প্রদেশের গোরক্ষপুরের বাসিন্দা পেশায় স্কুল শিক্ষক সূর্যকান্তের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল তাঁর। গত ১৭ অক্টোবর বহুবাজার থানায় ফোন করে সূর্যকান্ত জানান, বাড়িতে আগুন লেগেছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। পুলিশ পৌঁছলে দাবি করা হয়, বাড়ির বধূ গায়ে আগুন দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন। কিন্তু বাড়ি থেকে কোনও সুইসাইড নোট পায়নি পুলিশ।
বুধবার বধূর দেহের ময়নাতদন্ত হয় কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে। ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে চিকিৎসকরা জানান, ওই বধূর মৃত্যু অগ্নিদগ্ধ হয়ে হয়নি। মৃত্যুর পর কেরোসিন ঢেলে তাঁর দেহে আগুন ধরানো হয়েছে। বধূকে মাথায় ও দেহের অন্যত্র ভারী জিনিস দিয়ে আঘাত করে খুন করা হয়েছে। ভারী জিনিসের আঘাতের চিহ্ন মিলেছে তাঁর শরীরে।
পুলিশ ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেয়েই নিহত বধূর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত স্বামী সূর্যকান্ত তিওয়ারিকে গ্রেফতার করে। তাঁকে আজ ব্যঙ্কশাল আদালতে পেশ করবেন তদন্তকারীরা। কেন বিয়ের ৪ মাসের মধ্যে তিনি স্ত্রীকে হত্যা করলেন তা জানতে ধৃতকে হেফাতজে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় বহুবাজার থানার পুলিশ।