ভুয়ো টিকাকাণ্ডে আপাতত সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিল না কলকাতা হাইকোর্ট। শুক্রবার হাইকোর্ট জানিয়েছে, যেভাবে তদন্ত চলছে, তাতে আপাতত ভুয়ো টিকাকাণ্ডে সিবিআই তদন্তের প্রয়োজন নেই। কেন্দ্রীয় তদন্তের আর্জি জানিয়ে যে মামলা দায়ের করা হয়েছিল, তাও খারিজ করে দেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায়ের পর্যবেক্ষণ, এই ধরনের অপরাধ বিরল। কীভাবে অপরাধ হয়েছে, তা অত্যন্ত আশ্চর্যের বিষয়। সেই ঘটনায় সাধারণ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। যদিও ভুয়ো টিকাকাণ্ডে সিবিআই তদন্তের আর্জি খারিজ করে দিয়েছে হাইকোর্ট। বিচারপতি জানিয়েছেন, আপাতত সিবিআই তদন্তের প্রয়োজন নেই। এই মুহূর্তে রাজ্যের তদন্তে হাইকোর্ট হস্তক্ষেপ করবে না। ভবিষ্যতে প্রয়োজন পড়লে বিষয়টি বিবেচনা করা যেতে পারে।
গত মাসের শেষের দিকে ভুয়ো করোনাভাইরাস টিকাকাণ্ডে সিবিআই তদন্তের আর্জি জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছিলেন আইনজীবী সন্দীপন দাস। তাঁর দাবি ছিল, ভুয়ো টিকাকাণ্ডে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের একাংশ জড়িত আছে। রাজ্য পুলিশ সত্য উদঘাটন করতে পারবে না। তাই কেন্দ্রীয় সংস্থাকে তদন্তভার দেওয়া হোক। যদিও হাইকোর্ট সেই আর্জি খারিজ করে দিয়েছে।
তারইমধ্যে শুক্রবার হাইকোর্টে রাজ্যের অ্যাডকোভেট জেনারেল কিশোর দত্ত জানিয়েছেন, ভুয়ো টিকাকাণ্ডে ইতিমধ্যে দেবাঞ্জন-সহ একাধিকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অনেকের বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে। নেওয়া হয়েছে গোপন জবানবন্দিও। তার ভিত্তিতে শীঘ্রই দ্রুত চার্জশিট পেশ করা হবে। কয়েকটি রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করা হচ্ছে। সেই রিপোর্ট হাতে পেলেই চার্জশিট পেশ করবে কলকাতা পুলিশ।
অন্যদিকে, আজই ভুয়ো টিকাকাণ্ডের মূল পাণ্ডা দেবাঞ্জনকে আদালতে পেশ করা হবে। সিটি কলেজে টিকা শিবিরের ঘটনায় তাঁকে হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানাবে পুলিশ। পাশাপাশি সূত্রের খবর, ভুয়ো টিকাকাণ্ডে তদন্ত শুরু করতে চলেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। আজই এফআইআর দায়ের করা হতে পারে। বিষয়টি নিয়ে বৃহস্পতিবার দিল্লি এবং কলকাতা আধিকারিকদের মধ্যে একপ্রস্থ বৈঠক হয়েছে।