পুলিশ হেফাজতে মৃত পটাশপুরের মৃত বিজেপি কর্মীর দেহের দ্বিতীয় ময়নাতদন্তের নির্দেশ বহাল রাখল আদালত। মঙ্গলবার ফের ময়নাতদন্তের নির্দেশ দেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাখশেখর মান্থা।
গত বৃহস্পতিবার কলকাতার SSKM হাসপাতালে মৃত্যু হয় পটাশপুরের বিজেপি কর্মী মদন ঘড়ুইয়ের। ভাইপোর বিরুদ্ধে নাবালিকা অপহরণের অভিযোগ থাকায় মদনবাবুকে পুলিশ গ্রেফতার করে। এর পর পুলিশ হেফাজতে থাকাকালীন অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। তাঁকে SSKM হাসপাতালে ভর্তি করলে মৃত্যু হয়।
গত শুক্রবার SSKM হাসপাতালেই মদনবাবুর দেহের ময়নাতদন্ত হয়। এর পর দেহ তুলে দেওয়া হয় পরিবারের হাতে। ওদিকে পুলিশের তত্ত্বাবধানে ময়না তদন্তে অনাস্থা প্রকাশ করে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন মৃতের দাদা স্বপন ঘড়ুই। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজশেখর মান্থা আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে দেহের ফের ময়নাতদন্তের নির্দেশ দেন।
আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সেদিনই ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয় রাজ্য। বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ ময়নাতদন্তে স্থগিতাদেশ দিয়ে মামলাটি সিঙ্গল বেঞ্চে ফিরিয়ে দেন। ওদিকে মদনবাবুর দেহের ঠাঁই হয় আরজি করের মর্গে।
মঙ্গলবার মামলাটির শুনানিতে বিচারপতি মান্থা পুরনো রায়েই অনড় থাকেন। আরজি কর হাসপাতালের ফরেন্সিক বিজ্ঞান বিভাগের প্রধানকে ৩ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের প্যানেল তৈরির নির্দেশ দিয়েছে আদালত। সেই ৩ চিকিৎসককে মদনবাবুর দেহের দ্বিতীয় ময়নাতদন্ত করে মুখবন্ধ খামে তার রিপোর্ট আদালতে জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। আগামী ১৯ অক্টোবর ফের মামলাটির শুনানি হবে কলকাতা হাইকোর্টে।