কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক-অশিক্ষক কর্মীদের আন্দোলন নিয়ে কড়া পদক্ষেপ করল কলকাতা হাইকোর্ট। পড়াশোনার ক্ষতি করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে ধর্না করা যাবে না বলে নির্দেশ দিল রাজ্যের উচ্চ আদালত। এ বিষয়ে আসানসোলের পুলিশ কমিশনার সুধীর কুমার নীলকান্তকে পদক্ষেপ করতে বলেছেন হাইকোর্টের বিচারপতি রাজশেখর মান্থা। ক্যাম্পাসের ভিতর থেকে ধর্না মঞ্চ সরানোর জন্য নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। তাঁর মন্তব্য, পড়াশোনার ক্ষতি করে ধর্না করার কোনও অধিকার নেই।
বিচারপতি মান্থার নির্দেশ, ক্যাম্পাসের ভিতর থেকে ধর্না সরাতে প্রয়োজনে পুলিশকে শক্তি ব্যবহার করতে হবে। যদিও বিচারপতি জানিয়েছেন, ক্যাম্পাসের মেইন গেট থেকে ৫০ মিটার দূরে ধর্না চালানো যেতে পারে। তবে সেক্ষেত্রে কোনও পড়ুয়া বা শিক্ষককে ক্যাম্পাসে ঢুকতে বাধা দেওয়া যাবে না। উল্লেখ্য, গত ১৩ মার্চ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সাধন চক্রবর্তীর পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন করছেন শিক্ষক অশিক্ষক কর্মীরা। তাঁদের অভিযোগ, উপাচার্য দুর্নীতিগ্রস্ত। আন্দোলনকারীদের দাবি, উপাচার্য বৈধ নন। যদিও এ বিষয়ে উচ্চশিক্ষা দফতরের তরফে জানানো হয়নি। সুতরাং উপাচার্যকে না মানার সিদ্ধান্ত সঠিক নয় বলে মনে করছেন একাংশ। বিশ্ববিদ্যালয়ের অচলাবস্থা কাটাতে রাজ্য সরকারের পদক্ষেপ করা উচিত বলে তাদের দাবি।
রেজিস্ট্রার চন্দন কোনারকে বরখাস্তের নোটিশ দেন উপাচার্য। তারপর থেকে আন্দোলন অব্যাহত রয়েছে। যদিও উপাচার্যের দাবি, তাঁকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিতরে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। এছাড়া পড়ুয়াদের পড়াশোনার ক্ষতি হচ্ছে। এই দাবিতে তিনি কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। এদিকে, ডেপুটি রেজিস্টারের আইনজীবী আদালতে দাবি করেন, পুলিশকে জানানো হলেও পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। যদিও রাজ্যের দাবি, অভিযোগ পাওয়ার পরে সেখানে পুলিশ যায়। তবে লাঠিচার্জ করেনি। এরপরে বিচারপতি ক্যাম্পাস থেকে ধর্না সরানোর নির্দেশ দেন। যদিও রেজিস্ট্রারকে বরখাস্ত করার যে সিদ্ধান্ত উপাচার্য নিয়েছিলেন তাতে হাইকোর্ট কোনও স্থগিতাদেশ দেয়নি বলেই জানিয়েছেন আইনজীবী।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup