পূজাবকাশের মধ্যেই তিন বিচারপতি পাচ্ছে কলকাতা হাইকোর্ট। আগামী ২ নভেম্বর তাঁর শপথ নেবেন। তিন বিচারপিত মধ্যে রয়েছেন পাটনা হাইকোর্টের বিচারপতি মধুরেশ প্রসাদ। এলাহাবাদ হাইকোর্টের বিচারপতি সূর্য প্রকাশ কেশওয়ানি এবং মণিপুর হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি এমভি মুরলীধর। এর মধ্য বিচারপতি এমভি মুরলীধর মেইতেই জনগোষ্ঠীকে তফসিলি উপজাতি স্বীকৃতির রায় দিয়ে সুপ্রিম কোর্টে সমালোচিত হয়েছিলেন। অন্যদিকে কলকাতা হাইকোর্ট থেকে বিচারপতি বিচারপতি লপিতা বন্দ্যোপাধ্যায় বদলি হয়ে যাচ্ছেন পাঞ্জাব-হরিয়ানা হাইকোর্টে।
প্রসঙ্গত, কলকাতা হাইকোর্টে মোট ৭২ জন বিচারপতি থাকার কথা। কিন্তু বর্তমানে রয়েছেন ৫২ জন বিচারপতি। স্থানান্তরের ফলে কলকাতায় বিচারপতির সংখ্যা বেড়ে হবে ৫৪ জন। ভিন রাজ্যের থেকে আসা বিচারপতির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াচ্ছে ৭ জনে।
এই সময়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ভিন রাজ্যের বিচারপতির সংখ্যা দেখে বিস্ময় প্রকাশ করেছে আইনজীবীদের সংগঠন। হাইকোর্টের বার লাইব্রেরির প্রাক্তন সম্পাদক প্রমিত রায়ে বলেন, 'এক সঙ্গে এতজন ভিন রাজ্যের বিচারপতিকে একটি হাইকোর্টে পাঠানোর পিছনে কারণ অস্পষ্ট। আইনত বাধা না থাকলেও ব্যাপারটা অভূতপূর্ব। এ নিয়ে যাঁদের আপত্তি করা উচিত ছিল, তাঁরা সেটা করেননি হয়তো।'
(পড়তে পারেন। এথিক্স কমিটির তাড়া কীসের?' মহুয়া নিয়ে কি অবস্থান বদল তৃণমূলের? স্পষ্ট করলেন কুণাল)
এর আগে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম মাদ্রাজ হাইকোর্ট থেকে বদলি হয়ে কলকাতা আসেন। দেড় বছর পর তিনি প্রধান বিচারপতি হন। পরে মাদ্রাজ হাইকোর্টের বিচারপতি ভিএম ভেলুমণি এবং দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি গৌরাঙ্গ কান্ত এবং ওড়িশা হাইকোর্টে বিচারপতি চিত্তরঞ্জন দাস বর্তমান কলকাতা হাইকোর্টে কর্মরত।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কলকাতা হাইকোর্টের বেশ কয়েকজন আইনজীবীকে বিচারপতি পদে স্থাভিষিক্ত করতে কলেজিয়ামের বহু পুরনো প্রস্তাব এখনও কেন্দ্রের অনুমোদন পায়নি। দায়রা আদালতের বিচারকদের হাইকোর্টে বিচারপতি পদে উন্নীত করার একাধিক প্রস্তাব রয়েছে। সেই প্রস্তাবও অনুমোদনের অপেক্ষায় পড়ে রয়েছে।