লক্ষ্মীপুজোর দিন মোমিনপুরে হিংসার ঘটনায় পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলেছিলেন বিরোধীরা। এবার সেই ইস্যুতে নিজেদের অসন্তোষ প্রকাশ করল হাই কোর্ট। আজকে মোমিনপুর সংক্রান্ত মামলার শুনানির সময় উচ্চ আদালতের তরফে পুলিশকে প্রশ্ন করা হয়, নাগরিকদের নিরাপত্তার স্বার্থে কী পদক্ষেপ করা হয়েছে? এদিকে বোমাবাজি হওয়া সত্ত্বেও কেন এনআইএ-র ধারায় মামলা রুজু হয়নি, সেই নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে আদালত। কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলকে তলবেরও হুঁশিয়ারি দিয়েছে আদালত।
এদিন মোমিনপুর মামলার শুনানি চলাচালীন কলকাতা বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর নেতৃত্বাধীন হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের তরফে পুলিশি ত্রুটি সংক্রান্ত লিখিত জবাব চাওয়া হয়। মোমিনপুরে গোষ্ঠী সংঘর্ষের ঘটনা নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন আইনজীবী সুস্মিতা সাহা দত্ত। সেই মামলার শুনানি হয় আজ। সেখানেই পুলিশ এভং রাজ্য সরকারের থেকে জবাব চায় আদালত। এই মামলার পরবর্তী শুনানি আজই বেলা ২টোর সময় হবে।
জানা যায়, লক্ষ্মীপুজোর দিন দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে উত্তেজনা ছড়ায় দক্ষিণ কলকাতার একবালপুর, মোমিনপুর এলাকায়। বোমা, ইট, কাচের বোতল ছোঁড়ার অভিযোগ ওঠে। দোকান, বাইক ভাঙচুর করা হয়। পরে একবালুপুর থানায় ঢুকে একদল বিক্ষোভকারী ভাঙচুর চালায়। রীতিমতো থানা দখল হয়ে যায় বলে অভিযোগ ওঠে। ঘটনায় দুই পুলিশ আধিকারিক জখম হন বলে দাবি করা হয়। পরে আজ সকাল থেকে অতিরিক্ত সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয় এলাকায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ১৪৪ জারি করা হয়। মোমিনপুরে সংঘর্ষের ঘটনায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও রাজ্যপালকে চিঠি দেন শুভেন্দু অধিকারী। রাজভবনে গিয়ে সরাসরি রাজ্যপালের সঙ্গে দেখাও করে আসে বিজেপির প্রতিনিধি দল। তবে ধীরে ধীরে পরিস্থিতি শান্ত হচ্ছে সেখানে।
মোমিনপুরে হিংসা ছড়ানোর ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মোট ৪২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনার পর থেকে এলাকায় বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। নামানো হয়েছে র্যাফ। আজকে পর্যন্ত একবালপুরে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। তবে পরিস্থিতি আপাতত স্বাভাবিক বলে জানা গিয়েছে।