নন্দীগ্রামে ভোটগণনায় কারচুপির অভিযোগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দায়ের করা মামলায় কেন শুভেন্দু অধিকারী হাইকোর্টে সুবিচারের আশা করছেন না তা লিখিত আকারে জানাতে হবে তাঁকে। সোমবার মামলার শুনানিতে এমনই নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি শম্পা সরকার। আগামী ২৯ নভেম্বরের মধ্যে তাঁকে লিখিত আকারে তাঁর বক্তব্য জমা দিতে হবে। ১ ডিসেম্বর হবে মামলার পরবর্তী শুনানি।
নন্দীগ্রামে বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারীর কাছে ১৭৩৬ ভোটে পরাজিত হয়েছেন তৃণমূলপ্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর পরই ভোটগণনায় কারচুপির অভিযোগ তুলতে শুরু করে তৃণমূল। গত ১৭ জুন ভোটের ফলকে চ্যালেঞ্জ করে আদালতে নির্বাচনী মামলা দায়ের করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মামলাটি বিচারপতি কৌশিক চন্দর বেঞ্চে ওঠে। এতে আপত্তি জানিয়ে মামলা স্থানান্তরের দাবিতে সরব হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর পর মামলা থেকে অব্যহতি নেন বিচারপতি চন্দ। মামলাটি যায় বিচারপতি শম্পা সরকারের বেঞ্চে।
কিন্তু এরই মধ্যে মামলা রাজ্যের বাইরে সরানোর আবেদন জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন শুভেন্দু। যার জেরে তিন মাসের জন্য মামলার শুনানি স্থগিত করে দেন বিচারপতি সরকার। তার পর সোমবার ছিল মামলার শুনানি। এদিন ফের মামলার শুনানি পিছনোর আবেদন জানান শুভেন্দুবাবু। সঙ্গে জানান হাইকোর্টের বিচারে ভরসা নেই তাঁর। এর পরই বিচারপতি সরকার শুভেন্দুবাবুর আইনজীবীকে নির্দেশ দেন, কেন বিরোধী দলনেতার হাইকোর্টের বিচারে আস্থা নেই তা আগামী ২৯ নভেম্বরের মধ্যে লিখিত আকারে তাঁকে জানাতে হবে। আগামী ১ ডিসেম্বর ফের হবে এই মামলার শুনানি।