দিন দুয়েক আগেই পদত্যাগী বিনয় তামাং দেখা করেছিলেন মোর্চা নেতা বিমল গুরুংয়ের সঙ্গে। বুধবার সন্ধ্যায় প্রায় চার বছর পর মুখোমুখি হয়েছিলেন দুজনে। এরপর বিমল বলেছিলেন, আমি তো সবারই অভিভাবক। এবার পাহাড়ের সেই অভিভাবককেই কার্যত অস্বস্তিতে ফেলে পা ফেলতে শুরু করল সিবিআই। মদন তামাং হত্যার ঘটনায় এবার নয়া মোড়। নিম্ন আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে এবার কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের সিবিআইয়ের। সূত্রের খবর অখিল ভারতীয় গোর্খা লিগ নেতা প্রয়াত মদন তামাংয়ের স্ত্রী ভারতী তামাংও আদালতে একই আবেদন করেছেন। কিন্তু শুক্রবার দুটি মামলাই আদালতে উঠলে ব্যক্তিগত কারণের কথা উল্লেখ করে বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের বেঞ্চ মামলা শুনতে চাননি। ফের তা ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দালের বেঞ্চে যায়।
সিবিআইয়ের আইনজীবী অনির্বান মিত্র জানিয়েছেন,' আমাদের কাছে পর্যাপ্ত তথ্যপ্রমাণ আছে গুরুংয়ের এই ঘটনায় জড়িত । সেকারনেই নিম্ন আদালতের নির্দেশ খারিজ করার আবেদন জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করা হয়েছে।' এবার একটু পেছনের দিকে ফেরা যাক। ২০১০ সালের ২১শে মে। দার্জিলিংয়ের রাস্তায় প্রকাশ্যে দিনের বেলা খুন করা হয় মদন তামাংকে। রক্তে ভেসে যাওয়া সেই ছবি দেখে শিউরে উঠেছিলেন অনেকেই। এরপর গুরুংয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে তিনি চন্দ্রমান ধুরা এলাকায় হত্যাকাণ্ডের আগেই বৈঠক করেছিলেন। অভিযোগ ওঠে সেখানেই তৈরি হয়েছিল খুনের নীল নকশা।
এরপর তদন্তভার নেয় সিআইডি। ২২জনকে পলাতক দেখিয়ে চার্জশিট জমা দেওয়া হয়। পরে তদন্ত শুরু করে সিবিআই। অভিযুক্ত করা হয় গুরুংকে। কিন্তু কলকাতা নগর ও দায়রা আদালত থেকে ২০১৭ সালে অক্টোবর মাসে অব্যাহতি পান বিমল। কিন্তু তার চার বছর পরে বর্তমানে তৃণমূল ঘনিষ্ঠ বিমল গুরুংয়ের বিরুদ্ধে সেই মামলা কার্যত রি ওপেন করল সিবিআই। সেটাও আবার তথ্য প্রমাণ হাতে নিয়ে। তবে কী পাহাড়ে বিজেপির বিরুদ্ধে বিমল সুর চড়াতেই পালটা তার বিরুদ্ধে সক্রিয় হল সিবিআই? নানা প্রশ্ন ঘুরছে দার্জিলিংয়ের রাস্তায়।