কলকাতা আর আসানসোল মিলিয়ে কয়লাকাণ্ডে একেবারে ৭ জায়গায় হানা সিবিআইয়ের। মূলত আইনমন্ত্রী মলয় ঘটকের একাধিক বাড়িতে হানা দেয় সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা বার বার তলব করা সত্ত্বেও এড়িয়ে গিয়েছেন মন্ত্রী। তবে এবার একেবারে সবদিক খতিয়ে দেখে বড় অভিযানে নেমেছে সিবিআই। শুধু আসানসোল নয়, কলকাতায় মলয় ঘটকের কোয়ার্টারেও হাজির হন সিবিআইয়ের তদন্তকারীরা। মন্ত্রীর কোয়ার্টারে মলয় ঘটককে জেরা করা হচ্ছে বলে খবর।
তবে এসবের মধ্যেই আসানসোলে মলয় ঘটকের বাড়িতে সিবিআই হানার মাঝেই দুয়ারে হাজির ৮১ নম্বর ওয়ার্ডের মহিলা কাউন্সিলর। তিনি নিজেকে চিকিৎসক পরিচয় দিয়ে ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করেন। তবে দরজাতেই তাঁকে আটকে দেওয়া হয়। তাঁর দাবি মলয় ঘটকের স্ত্রী অসুস্থ। সেকারণেই তাঁরা দেখতে এসেছেন। তাঁর দাবি, বৌদি অসুস্থ। সেকারণেই তাঁরা দেখা করতে এসেছেন। কিন্তু চিকিৎসক না হওয়া সত্ত্বেও কেন তিনি এভাবে ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করছিলেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এদিকে মন্ত্রীর বাড়িতে সিবিআই হানার প্রতিবাদে এদিন আসানসোলেও দফায় দফায় বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তৃণমূলের স্থানীয় নেতা কর্মীরা।
এদিকে সূত্রের খবর, কয়লাকাণ্ডের অন্যতম মূল অভিযুক্ত অনুপ মাঝি ওরফে লালার ডায়েরিতে মন্ত্রীর নাম পাওয়া যায়। এরপর থেকেই ইডি বার বার এনিয়ে মন্ত্রীকে তলব করে। একবার মাত্র তিনি দিল্লিতে গিয়েছিলেন। সেবার ইডির তলবে তিনি সাড়া দিয়েছিলেন। কিন্তু তারপর থেকে তিনি তলব এড়িয়ে যাচ্ছিলেন। তবে এবার সিবিআই মন্ত্রীর সাত বাসভবনের তল্লাশি চালাচ্ছে। এমনকী চাবিওয়ালা নিয়ে এসে আলমারির তালা খোলারও চেষ্টা করা হচ্ছে।