প্রায় ১০ বছর কারারুদ্ধ থাকার পর জেল থেকে মুক্তি পেলেন ছত্রধর মাহাতো। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের কনভয়ে মাইন হামলার মামলায় আগেই ছত্রধরের সাজার মেয়াদ কমিয়েছিল আদালত। শেষে UAPA-র ধারায় দায়ের মামলা থেকে নিষ্কৃতি পেয়ে অবশেষে মুক্ত হলেন তিনি। এখন তাঁর লালগড়ে ফেরার অপেক্ষায় পরিবার। ছত্রধর কোন রাজনৈতিক দলের হাত ধরেন, তা নিয়েও লালগড় চত্বরে কৌতুহল চরমে।
২০০৮ সালে সরকারের বিরুদ্ধে গড়ে ওঠে পুলিশি সন্ত্রাস বিরোধী জনসাধারণের কমিটি। ওই বছর নভেম্বরে জিন্দালদের ইস্পাত কারখানার উদ্বোধন করতে ঝাড়গ্রাম গিয়েছিলেন তত্কালীন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। সঙ্গে ছিলেন তত্কালীন কেন্দ্রীয় ইস্পাত মন্ত্রী রামবিলাস পাসোয়ান। ফেরার পথে ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কে মুখ্যমন্ত্রীর কনভয়ে মাইন বিস্ফোরণ ঘটে। তাতে কেউ হতাহত না হলেও গোটা রাজ্য রাজনীতি টলে যায় ওই ঘটনায়।
ঘটনায় জনসাধারণের কমিটির বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে CID. পরের বছর গ্রেফতার হন ছত্রধর। সেই থেকে জেলে রয়েছেন তিনি। রাজ্যে তৃণমূল ক্ষমতায় এলেও বন্দিদশা ঘোচেনি তাঁর।
২০১৫ সালে ছত্রধরকে দেশদ্রোহিতার অভিযোগে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা দেয় মেদিনীপুরের আদালত। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন ছত্রধর। গত বছর সাজা কমিয়ে ১০ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। এরই মধ্যে একাধিক মামলায় জামিন হয় ছত্রধরের।
তবে গলায় কাঁটার মতো বিঁধে ছিল ঝাড়খণ্ডে UAPA-তে দায়ের একটি মামলা। অবশেষে সেটি থেকেও নিষ্কৃতি পেয়েছেন তিনি। যার ফলে বন্দিদশা থেকে মুক্ত হলেন তিনি।
ছত্রধরের মুক্তির পর তাঁর বাড়ি ফেরার অপেক্ষায় পরিবার। অরাজনৈতিক জনগণের কমিটির নেতা কোন পথে যান তা দেখতেও উত্সাহ চরমে। ইতিমধ্যে তৃণমূলে যোগদান করেছেন ছত্রধরের স্ত্রী। এবার কি সেই পথেই হাঁটবেন একদা বিদ্রোহের মুখ ছত্রধর?